পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সত্যিকারের বন্ধু চেনার উপায়

ছবি
সত্যিকারের বন্ধু চেনার কিছু উপায় আছে, যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কে আপনার প্রকৃত বন্ধু এবং কে শুধুই স্বার্থপর বন্ধুত্ব করছে। আসুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখে নেই— ১. কঠিন সময়ে পাশে থাকা দুঃখ-কষ্টেও পাশে থাকে সত্যিকারের বন্ধু, শুধু আনন্দের মুহূর্তেই নয়। যদি কেউ আপনার খারাপ সময়ে আপনাকে সান্ত্বনা দেয়, সাহায্য করতে চায়, তাহলে সে সত্যিকারের বন্ধু। ২. স্বার্থ ছাড়া সম্পর্ক যদি কেউ শুধুমাত্র আপনার উপকারের জন্যই আপনার সঙ্গে মিশে, তাহলে সে প্রকৃত বন্ধু নয়। সত্যিকারের বন্ধু স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ৩. সৎ ও খোলামেলা কথা বলে একজন ভালো বন্ধু আপনার ভুল শুধরানোর জন্য খোলামেলা ও সত্য কথা বলবে, এমনকি আপনি যদি তা পছন্দ না করেন তাও। কারণ তারা চান আপনি ভালো থাকুন। বন্ধু বা মিত্র ৪. ঈর্ষা নয়, উৎসাহ দেয়  আপনাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে,আপনার সাফল্যে যে ব্যক্তি খুশি হয় সে প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু যে আপনাকে নিচে নামাতে চায় বা ঈর্ষান্বিত হয়, সে প্রকৃত বন্ধু নয়। ৫. শ্রদ্ধা ও সমর্থন প্রদান করে একজন সত্যিকারের বন্ধু আপনার মতামত, ইচ্ছা ও ব্যক্তিত্বকে সম্মান করে এবং আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য...

ভগবান শব্দের প্রতিশব্দ ও ভগবানের সংজ্ঞা

ছবি
ঈশ্বর শব্দের বিভিন্ন প্রতিশব্দ রয়েছে, যা প্রেক্ষাপট এবং ধর্মীয় বা দার্শনিক দৃষ্টিকোণ অনুসারে প্রযোজ্য। ভগবান শব্দের বেশ কয়েকটি প্রতিশব্দ রয়েছে। যেমন: ঈশ্বর পরমেশ্বর মহাদেব সর্বশক্তিমান জগদীশ্বর সৃষ্টিকর্তা নারায়ণ শ্রীহরি বিধাতা প্রভু ভগবান শব্দের প্রতিশব্দ এই শব্দগুলো প্রসঙ্গ ও ব্যবহার অনুযায়ী ভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ প্রতিশব্দ রয়েছে: সাধারণ প্রতিশব্দ দেবতা ঐশ্বরিক সত্তা সর্বোচ্চ সত্তা সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বিধান বাইবেলের এবং খ্রিস্টীয় প্রতিশব্দ প্রভু যিহোবা ইয়াহওয়ে এলোহিম আদোনাই পিতা ইসলামিক প্রতিশব্দ আল্লাহ আর-রহমান (সর্বাধিক করুণাময়) আর-রহিম (সর্বাধিক করুণাময়) হিন্দু প্রতিশব্দ ব্রহ্ম (চূড়ান্ত বাস্তবতা) ঈশ্বর ভগবান পরমাত্মা গ্রীক ও রোমান পুরাণ জিউস (গ্রীক) বৃহস্পতি (রোমান) দার্শনিক ও রূপক প্রতিশব্দ মহাবিশ্ব পরম অসীম উৎস আপনি কি (ঈশ্বর) একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বা দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রতিশব্দ চান? হিন্দু ধর্ম অনুসারে ব্যাখ্যাঃ পরাশর মুনি ;ভগবান; শব্দটির 👉সংজ্ঞা প্রদান করেছেন । ;ভগ; অর্থ ঐশ্বর্য্য এবং;বান; অর্থ অধিকারী , যার 👉আছে । জান অনেক রুপ আছে  তা...

ধর্মের সংজ্ঞা কি?

ছবি
 এই যে আমরা এত ধর্ম নিয়ে তর্কাতর্কি করি এর সংজ্ঞা কি আমরা আসলেই বুঝি নাকি না বুঝেই নেশাখোরের মত মাতলামি করি ।ধর্মের সংজ্ঞা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে সাধারণভাবে ধর্ম হল একটি আধ্যাত্মিক, নৈতিক ও সামাজিক জীবনের সিস্টেম, যা মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তা, প্রকৃতি এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে সহায়তা করে। ধর্ম সাধারণত বিশ্বাস, রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান, এবং নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, যা সমাজের একত্রিত হওয়া এবং মানুষের আত্মিক উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে কাজ করে। ধর্মের মাধ্যমে মানুষ তার জীবনকে উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করে, এবং এটি সৃষ্টিকর্তা বা উচ্চ শক্তির প্রতি বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার একটি মাধ্যমও হতে পারে। ধর্ম নিয়েই যখন এত বাড়াবাড়ি তবে ধর্মে মানে আগে ভালমত বুঝা উচিত ।ধৃ +মন =ধর্ম ।ধৃ মানে হলো ধারণ বা গ্রহণ করা ।আর মন হলো অন্তর,আত্না,পরমাত্না ।তবে ধর্মের অর্থ হলো মন যাহাকে গ্রহণ শান্তি লাভ করে তাহাই ধর্ম ।সব ধর্মই শান্তির কথা বলে ।কোন ধর্মই চুরি,ডাকাতি,নরহত্যা,ব্যভিচার করতে বলে না । ধর্ম হল বিশ্বাস, আচরণ, এবং নীতিশাস্ত্রের এ...

ভক্তিযোগের উদ্দেশ্য কি

ছবি
শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণোঃ এই তিনটি হচ্ছে ভক্তিযোগের অঙ্গ। অতএব আমরা বলতে পারি স্বয়ং ভগবানের নাম মাহাত্ম কীর্তন শ্রবণ অথবা বিজ্ঞ আচার্যদের দিব্য জ্ঞান সম্মানিত দার্শনিক প্রবচন শোনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে ভক্তিযোগ সাধিত হয়।  ভক্তিযোগের পথ প্রেম, নিষ্ঠা এবং সমর্পণের মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্মতা অর্জনের পথ। এটি হিন্দু দর্শনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগপন্থা, যেখানে ভক্তি বা আন্তরিক প্রেমের মাধ্যমে পরম সত্যকে উপলব্ধি করা হয়। ভক্তিযোগের মূল উপাদানসমূহ ১. শ্রবণ (শোনার সাধনা) – ঈশ্বরের গুণগান, লীলা ও শাস্ত্র পাঠ শ্রবণ করা। 2. কীর্তন (গান গাওয়া) – ভক্তিগান ও স্তোত্রগান পরিবেশন করা। 3. স্মরণ (স্মরণ করা) – ঈশ্বরকে সর্বদা চেতনায় রাখা। 4. পাদসেবা (সেবাশ্রদ্ধা) – ঈশ্বরের মূর্তি বা ভক্তদের সেবা করা। 5. অর্চনা (পূজা করা) – মন্ত্রোচ্চারণ ও উপাসনার মাধ্যমে ঈশ্বরের উপাসনা করা। 6. বন্দন (নমস্কার বা প্রার্থনা করা) – ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রার্থনা নিবেদন করা। 7. দাস্য (ভৃত্যভাব) – নিজেকে ঈশ্বরের সেবক হিসেবে গ্রহণ করা। 8. সাখ্য (সখাভাব) – ঈশ্বরকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে ভাবা। 9. আত্মনিবেদন (পরম আত্মসমর্...

হরিবাসর বা হরিসভা কেন করব

ছবি
কলিকালের হতভাগা মানুষ  অমৃত কথা /বাক্য  (হরেকৃষ্ণ) ভুলে গিয়ে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না এমন অন্ধকারছন্দ পথে অগ্রসর হয়ে পড়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও অর্থবিত্তের তুচ্ছ মোহে  আবদ্ধ হয়ে সত্য সুন্দরের পথ খুঁজেই পাচ্ছে না। এইরকম অন্ধকারছন্ন দুঃখময় ভবিষ্যৎ জীবন থেকে  পরিত্রাণ পাবার জন্য অবশ্যই মানব কুলকে  প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণ পথের দিকে যাত্রা করতে হবে।হরিবাসর বা হরিসভা হলো একটি ধর্মীয় ও সামাজিক সমাবেশ, যা প্রধানত বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রচলিত। এই সমাবেশে সাধারণত ভক্তিগীতি, কীর্তন, ধর্মীয় আলোচনা এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।  হরিবাসর বা হরিসভা হিন্দু ধর্মীয় ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি সাধারণত কীর্তন, ভজন, ভাগবত পাঠ, এবং ধর্মীয় আলোচনা নিয়ে গঠিত হয়  হরিবাসর ও হরিসভার বৈশিষ্ট্য:  কীর্তন ও নামসংকীর্তন –ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বা শ্রীহরির নামগান করা হয়।   ভক্তিগীতি ও ভাগবত আলোচনা – শ্রীমদ্ভাগবত, রামায়ণ, মহাভারত বা অন্যান্য ধর্মীয় শাস্ত্র থেকে পাঠ ও ব্যাখ্যা করা হয়।   সমবেত উপাসনা – ভক্তরা একত...

বিষ্ণু পুরান অনুযায়ী মহাবিশ্ব সৃষ্টির বর্ননা

ছবি
বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী সৃষ্টির বর্ণনা অনুসারে, মহাবিশ্বের সৃষ্টির শুরু হয় বিশাল, অন্ধকারময় অবস্থায়, যেখানে কিছুই ছিল না। এরপর, বিষ্ণু স্বয়ং তাঁর অশেষ শক্তি দিয়ে এই সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রথম অবস্থা: মহাবিশ্বের সৃষ্টির পূর্বে, শুধুমাত্র "নির্বাণ" বা "অবস্তা" ছিল, যা এক ধরনের বিশাল অন্ধকার এবং শূন্যতা ছিল। এটি "প্রলয়" বা মহাপ্রলয়ের সময় ছিল, যেখানে কোনও জড় বা চেতনাই ছিল না। বিষ্ণুর অবতার ও সৃষ্টির প্রক্রিয়া: বিষ্ণু তাঁর পবিত্র আশ্রয়ে "মহা বিষ্ণু" রূপে শয়নরত ছিলেন। তাঁর শরীরের একটি সুষম অগ্নি বা মহাসাগরের মধ্যে, তিনি নিজেকে উৎপন্ন করেন। এই অবস্থা থেকেই সৃষ্টির যাত্রা শুরু হয়। তিনি প্রথমে একটি পদার্থের সৃষ্টি করেন, যা পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টির আধার হয়ে ওঠে। সৃষ্টির স্তর: প্রথমে ব্রহ্মা (সৃষ্টিকর্তা) কে সৃষ্টি করা হয়, যিনি সৃষ্টির কাজ শুরু করেন। তারপর, তিনি দেবতা, আশ্চর্য প্রাণী, মানুষ, বৃক্ষ, এবং অন্যান্য জীবের সৃষ্টি করেন। ত্রৈলোক্য সৃষ্টির বর্ণনা: বিষ্ণু পুরাণে ত্রৈলোক্য (তিনটি পৃথিবী) সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে— ভূলোক, স্বর্গলোক, ...

হিন্দু ধর্মের প্রতীক চিহ্ন

ছবি
 হিন্দু প্রতীকের(২৪টি শক্তিশালী) আধ্যাত্মিক বিশ্লেষণ PHIlOSOPHY ANALYSES of hindu semble   শুধুমাত্র ধর্মীয় চিহ্ন নয় হিন্দু ধর্মের প্রতীকসমূহ ,( NOT ICONS ) বরং এগুলো গভীর আধ্যাত্মিক, দার্শনিক ও মহাশক্তি বা শক্তির  উৎস। প্রতিটি প্রতীক.............  ★ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড,  ★ দেব-দেবতা,  ★ যোগ, সাধনা ও  ★ সংযুক্ত আত্মিক    উন্নতির   সাথে । এখানে  প্রত্যেকটি  প্রতীকের   আরো    গভীর   ও সুন্দরভাবে  আলোচনা     করা হলো— হিন্দু ধর্মের প্রতীকসমূহ হিন্দু ধর্মের প্রতীক চিহ্ন ১. ওহম্ (AUM) ঃ """"""""""""'""""""""""""" আধ্যাত্মিক অর্থ:  হিন্দু ধর্মের মূল মন্ত্র ও ব্রহ্মাণ্ডের ধ্বনি হলো ওম। সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের প্রতীক  এটি। "A" (অ) - ব্রহ্মা, সৃষ্টি "U" (উ) - বিষ্ণু, পালন "M" (ম) - মহেশ্বর (শিব), বিনাশ ধ্যান ও সাধনার সময় এটি  উচ্চারণ করলে কুণ্ডলিনী শক্তি জাগ্রত হয়প মনের প্রশান্তি আসে।  ২. শিব-শক্তি তারকা (Hexagram) ঃ  ...

চৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ

ছবি
চৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ ভূমিকাঃ নিমাই ছিলো অত্যন্ত দুষ্ট ও চঙ্গল প্রকৃতির। তার জম্ম হয়েছিলো নিম বৃক্ষের নিচে তাই তার নাম রাখা হয় নিমাই । ১৪০৭ বঙ্গাব্দ -ইং ১৪৮৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তার জম্ম হয় ফাল্গুনী পূর্ণিমার সন্ধ্যা ও চন্দ্রগ্রহণ সময়। ভারতীয় বৈদিক রীতি অনুযায়ী, চন্দ্রগ্রহণের সময় দিনেরশেষে মানুষ সাধারণত গঙ্গা অথবা কোন পবিত্র নদীতে গিয়ে স্নান করেন এবং জড় কলুষ থেকে মুক্তি লাভের জন্য বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেন। সকলে তখন সর্বশ্রেষ্ঠ বৈদিক মহামন্ত্র “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে” জপ-কীর্তন করছিলেন। দিব্য হরিনামের মঙ্গল ধ্বনিতে চারিদিক মাতিয়ে পশ্চিম বাংলার নবদ্বীপের শ্রীধাম মায়াপুর নামক স্থানে আবির্ভূত হন কলিযুগের পাবনাবতার, সকলের সৌভাগ্যের উদয়কারী সেই মায়াপুরচন্দ্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান প্রচারক ছিলেন এবং তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেমময় ভক্তির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর উপদেশগুলি মূলত শ্রীকৃষ্ণ ভক্তির প্রচার ও চর্চার উপর ভিত্তি করে। তাঁর প্রধান উপদেশগুলি নিম্নরূপ— চৈতন্য মহাপ্রভু ১. হরিনাম...