শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক শেখার পদ্ধতি
...👉* পাঠের সময় যখনই কোন বক্তা কোন শ্লোকের উদ্ধৃতি দেবেন, তা সতর্ক ভাবে শুনবেন। * যখন প্রতিদিন শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোকের আবৃত্তি করা হয়, প্রতিদিনকার সেই শ্লোকগুলি শেখার চেষ্টা করুন (“শ্রীমদ্ভাগবতের সব কটা শ্লোকই আমাদের মুখস্থ করা দরকার")।
...👉* কিংবা যখন শব্দার্থ পড়া হয়, তখন কিছু সংস্কৃত শব্দের অর্থ শেখার চেষ্টা করুন এবং এইভাবে আপনার শব্দ ভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।
![]() |
শ্রীমদ্ভাগবতের শ্লোক শেখার উপযোগী কিছু পরামর্শ। |
...👉* নিয়মিতভাবে শ্রীল প্রভুপাদের টেপ শুনুন এবং কখন কিভাবে তিনি কোন্ শ্লোকের উদ্ধৃতি করেন, তা লক্ষ্য করুন।
*👉 যে সমস্ত শ্লোক আপনার এর মধ্যেই শেখা হয়ে গেছে, সেইগুলির পুনরাবৃত্তি করুন। যেমন, গুর্ব্বষ্টক প্রার্থনা। প্রচারের জন্যে এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক। (ক'জন ভক্ত 'সংসার দাবানল'-এর প্রতিটি শব্দের অর্থ জানে?)
*👉 প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে শ্লোক শেখার চেষ্টা করুন। * প্রতিদিন এমন কি কয়েক মিনিটও যদি আমরা নিজেদের এই ব্যাপারে নিযুক্ত করি, তা হলে আমরা এক ধরনের রুচি অনুভব করব যা ক্রমেই বাড়তে থাকবে। যদি এটা নিয়মিত অভ্যাস না করেন, তা হলে এই রুচি কমে যেতে পারে (শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থাবলী পাঠের ব্যাপারেও এই একই নীতি প্রযোজ্য)।
👉* অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গে শ্লোক শেখা সহজতর হতে পারে। * সুযোগ পেলেই আপনার জানা শ্লোকের প্রয়োগ করুন।
👉* মনে রাখবেন, শ্রীকৃষ্ণই হলেন আমাদের স্মৃতিশক্তির উৎস। সুতরাং শ্লোক মুখস্থ করার অসীম সামর্থ্য আমাদের রয়েছে।
👉 * শ্লোকের সারমর্ম উপলব্ধির চেষ্টা করুন এবং তা যেন আপনার জীবনকে
বাস্তবে প্রভাবিত করে অর্থাৎ শুধু যেন তোতা পাখির মতো বাহ্য ভাবে
মুখস্থ না করা হয়।)
👉* একটা বক্তব্য বিষয় নিয়ে ভাবুন এবং তৎক্ষণাৎ প্রাসঙ্গিক শ্লোকগুলির কথা চিন্তা করুন।
👉* একটা লক্ষ্য সামনে রেখে সমস্ত শ্লোকগুলিকে এমনভাবে সাজিয়ে নিন
যাতে সেইগুলি মনের মণিকোঠায় সদা প্রস্তুত থাকে।
👉* গ্রন্থপাঠ বা শ্রবণের সময় যদি কোন শ্লোক আপনার ভাল লাগে যা আপনি শিখতে চান, তা হলে তা লিখে নিন, কয়েকবার তা আবৃত্তি করুন এবং কোন্ কোন্ প্রসঙ্গে শ্লোকটি উদ্ধৃত করা যায়, তা লক্ষ্য করুন।
*👉 বহু শ্লোক ভাসা ভাসা না শিখে বরং অল্প কিছু শ্লোক ভালভাবে শিখুন।
*👉 সমার্থক শব্দগুলিও শিখুন যাতে করে যখনই আপনি কোন শ্লোক আবৃত্তি করবেন, তখনই যেন তার অর্থের একটা পরিষ্কার চিত্র আপনার মনের মধ্যে ভেসে ওঠে।
* শ্লোকের যে অংশটুকু আপনি উদ্ধৃত করতে ইচ্ছুক, সেখানে পৌঁছানোর জন্যে গোটা শ্লোকটা না বলে শুধু সেই প্রাসঙ্গিক অংশটুকুই উদ্ধৃত করা অভ্যাস করুন।
* যখন আপনি কোন শ্লোক উদ্ধৃত করবেন, তা উচ্চ স্বরে, স্পষ্ট করে, ধীরগতিতে পাঠ করুন এবং এই সম্বন্ধে ধ্যান করুন। এর পর কি বলবেন, সেই কথা চিন্তা করে ব্যতিব্যস্তের মতো শ্লোক বলা উচিত নয়।
* এইভাবে শ্লোক সম্বন্ধে চিন্তা করা এবং আবৃত্তি করা আপনার জীবনধারারই অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।