হাইব্রিড জারা-১ ঘাস চাষ পদ্ধতি
"জারা ১ ঘাসের কাটিং খামারিদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে" একটি উচ্চ ফলনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস। এটি চীনের একটি ঘাস। এটি মূলত পাহাড়ি ঘাস। গবাদি পশুর জন্য উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি উন্নত মানের ঘাস।সর্বপ্রথম এই ঘাসটি বাংলাদেশে নিয়ে আসেন ডা. জহিরুল ইসলাম । বর্তমানে এই ঘাসটি সারা দেশের খামারিদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে কারণ বিশ্বে যতগুলো হাইব্রিড ঘাস রয়েছে তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ ও গরু-ছাগলের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই ঘাস।
![]() |
জারা ১ |
আর এই কারণে সারা বিশ্বে এই ঘাসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই খামারিগন নতুন জাতের হাইব্রিড জারা-১ ঘাস আপনারা সবাই রোপণ করতে পারেন।
কেন জারাঘাস খামারিদের কাছে এত জনপ্রিয়ঃ
এই ঘাসে ১৮%-২৪% প্রোটিন আছে। খুব দ্রুত বাড়ে। ঘাস নরম রসালো ও সুস্বাদু। ষাড় গরু বা গাভীকে দৈনিক ১৫-২০ কেজি খাওয়ানো যায়। দুধের উৎপাদন বেড়ে যায় এবং দুধের মান ভালো হয়। গাভীর প্রজনন ক্ষমতা ভালো থাকে। ঘাসের উচ্চতা ১৪-১৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতি বিঘায় ঘাস ২০-২৫ টন ফলন হয়। এটা যতো কাটবেন, শাখা প্রশাখা ততোই বাড়বে। প্রথমবার কাটিং রোপনের ৪৫ দিন পর খাওয়ার উপযোগী হয়। এরপর থেকে ২০ দিনের মধ্যে আবার কেটে খাওয়ানো যায়।
জারা ঘাসের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
১. উচ্চ ফলনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস।
২. ১ মাস পর পর কাটা যায়
৩. ১ মাস বয়সী ঘাস ৪-৫ ফুট লম্বা হয়
৪. অনেক মোটা এবং নরম হয় এই ঘাস
৫. গ্রীষ্ম, বর্ষা শীত সব ঋতুতেই ভাল ফলন পাওয়া যায়।
৬. যেকোন সময় এই ঘাস লাগানো যায়।
৭. সকল গবাদি পশুতে খায় ৮. প্রোটিনের পরিমাণ ১৮-২৪%
৮. শুকনো জমিতে চাষ করতে হয় তবে পানিতে ২ মাস পর্যন্ত পানি সহ্য করে বেচঁ থাকতে পারে।
৯. বিশেষ কোন যত্নের প্রয়োজন হয় না জারা ঘাসের জন্য।
১০. ২০০℅ খরা ও বন্যা সহনশীল জাত এটি।
১১. প্রথম লাগানোর ১ মাস পর কাটার উপযোগী হয়
১২. তত বেশী বংশ বিস্তার করবে যতবার কাটা যাবে এই ঘাস।
১৩. একবার লাগালে ৬-৭ বছর ফলন পাওয়া যাবে।
যোগাযোগঃ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,রাজারহাট কুড়িগ্রাম।।
মাধব সরকার (CEA)
০১৭১৯৫১৫২৪২
# tag: জারা ঘাসের পরিচিতি:,জারা ঘাস লাগানোর নিয়ম,জারা ঘাস চাষ পদ্ধতি,জারা ঘাস লাগানোর নিয়ম,জারা ঘাস চাষ পদ্ধতি,জারা ঘাস চাষ,জারা ঘাস,জারা ঘাস ১,জারা ঘাসের বীজ,জারা ঘাসের কাটিং,জারা ঘাসের ফলন,জারা ঘাসের পুষ্টিগুণ