গুরু পূজার নিয়ম।guru puja
এতৎ পাদ্যং ওঁ ঐং গুরুবেনম:, ইদমর্ঘ্যং ওঁ ঐং গুরুবে নমঃ ইদমাচমনীয়ং জলং ওঁ শ্রীগুরুবেনমঃ ইদং স্নানীয় জলং ওঁ ঐং শ্রীগুরুবেনমঃ।
সমস্ত জল তাম্র কুন্ডে দিবেন এবং রাত্রি কালে স্নান করাইবেন না। পুষ্প দ্বারা একটু চন্দন লইয়া শ্রী গুরু চরণ উদ্দেশ্যে দিবেন।
এষ গন্ধ ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নমঃ,
এতৎ পুষ্পং ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নম:,
এষধূপ: ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নমঃ,
এষদীপ: ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নমঃ
![]() |
গুরু পূজার নিয়ম।guru puja |
দক্ষিণ হস্ত উপরের বামহস্ত রাখিয়া তাহার দ্বারা নৈবেদ্য উপরে আচ্ছাদন পূৰ্ব্বক,
“এতৎ নৈবেদ্যং ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নম:” এই মন্ত্র দশবার জপ করত: নৈবেদ্য নিবেদন করিয়া দিবেন। তৎপর পানার্থ গ্লাসে গন্ধপুষ্প ও তুলসী পত্র দিয়া পাঠ্য।
যথা,
ইদং পানাৰ্থ জলং ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নম:, ইদং পুন: রাচমনীয়ং জলং ওঁ এং শ্রীগুরুবে নম:।
কুশীদ্বারা জল কোশা হইতে লইয়া তাম্রকুন্ডে প্রদান করিবেন।
* তৎপর গন্ধপুষ্প লইয়া, “এষগন্ধ পুষ্পাঞ্জলি ওঁ ঐং শ্রীগুরুবে নমঃ ইহা তিনবার দিতে হইবে। এইরূপে পূজা সমাপ্ত করিয়া শ্রীগুরু স্তব পাঠ করিবেন।
👉 শ্রী গুরু স্তবঃ
ওঁ কৃষ্ণানন্দং মহাসুখদং কেবলং ধ্যান মূৰ্ত্তীম্।
সদাশান্তং মহাধীরং প্রফুল্ল বদনং সদা ॥
প্রেম ভক্তি প্রদায়তে শ্রীগুরু দেবং পরমেশ্বর। করুণাময়ং কৃপাধিশ সদগুরুং ত্বয়াং নমামি ॥
💥 পবিত্র গুরুর কৃপা ছাড়া মানব জীবন সফল হবে না কোনদিন। প্রথম গুরু একজন জ্ঞানী ও গুণী মাতা। তার পরেই যার কৃপা পাওয়া যায় তিনি পিতা। সংযমী, জ্ঞানী, বুদ্ধিমান, সন্তানকে গড়তে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন নীতিবান আদর্শবান পিতারা।
শিক্ষাদাতা গুরু জ্ঞানালোক দ্বারা শিষ্যের আত্মার অন্ধকার দূর করে আলোর বন্যা বইয়ে দেন। আর দীক্ষাদাতা সদগুরু মানুষকে ধর্ম, সত্য ও ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করাতে পারেন। তবে যাদের জীবনে সু শিক্ষক, তাদের দোষগুলি নিম্ন প্রকারের যাদের পবিত্র মা-বাবা ও সু-দীক্ষাগুরু ভালোভাবে জোটে না ।
👉 বিচার শক্তির অভাব।
👉 অন্ধ বিশ্বাস
👉 মনের মাঝে লোভের বাসনা জাগ্রত থাকা।
👉 সহজ সরল বিশ্বাস প্রবণতা।
👉 ভৌতিক শক্তি বা দৈব্য শক্তি বিশ্বাস করা।
👉 সত্য, জ্ঞান ও ঈশ্বরানুরাগের অভাব।
এই দোষগুলির বিপরীত আচারণের অভ্যস্থ হলেই ভাল শিষ্য বা ভালো ছাত্র হওয়া যাবে। দীক্ষা গ্রহণ করার কমপক্ষে এক বছর পূর্ব হতে গুরু ও শিষ্য একে অপরকে ভালো ভাবে চিনবেন। উভয়ের সচ্চরিত্র সম্পর্কে উভয়ে জ্ঞাত হবেন। শিষ্যের প্রভাব, প্রতিপওি, লোকমর্যাদা, টাকা, সেবা, দান, ফুলের মালা, হাত পা মালিশ করা প্রভৃতির জন্য যে গুরু শিষ্য গ্রহণ করে সে মহাপাতকী। সে ধর্মের নামে মূর্খ শিষ্যকে অং বং সং ঢং শিখিয়ে দিয়ে ব্যাবসার ঘাট খোলেন আর মূর্খ শিষ্য যারা এই গুরু লাভ করে তারা অজ্ঞানী। শিষ্যকে মহৎবও সুন্দর মানুষ করার জন্য গুরুর থাকবে গুরু দায়িত্ব। দলবাজ গুরুরা সম্প্রদায়ী মন্ত্রে শিষ্যদের দলে ভিড়ান। কালী পূজক কালীমন্ত্রে বা তন্ত্রমন্ত্র রাম ভক্ত পাবে রামের মন্ত্র, অনুকূল শিষ্য পাবে অনুকূলের মন্ত্র, কৃষ্ণ ভক্ত গদ গদ চিওে শিখবে হরেকৃষ্ণ বীজমন্ত্র। যদি হরে কৃষ্ণ বলতে না পারো তবে নরে কৃষ্ণ, তরে কৃষ্ণ বললেও চলে। কোন কোন গুরু বলেন যে কোন রুপেই বা নামে তাকে ডাকা যায়। যারা ছাগলের প্রতি আগ্রহ তার গুরু মন্ত্র হবে আয় ছগলি পাতা খা। যার গরুর প্রতি মোহ সে বলবে ম গাভী তুমি কামধেনু, ভরো আমার দুধের হাঁড়ি ইত্যাদি। যোগ শিক্ষার নামে বহু মূর্খ গুরু ধৌতবস্তি, কপালভাতি, উজ্জয়ী আসন প্রাণায়মের প্যাঁচ অথবা খেচুরী মুদ্রার নামে জিহ্বাকে তালুতে উঠানোর কৌশল শিখায় ও নোটের ব্যাবসা করে। জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিচারের দ্বারা নিজের সকল দোষ দূর করা যায়। জয় গুরুদেবের জয়।।