ভোগ নিবেদনের নিয়ম ও মন্ত্র
ভোগ নিবেদন পদ্ধতিঃ
মৎস্য মুদ্রা যথা, ডাইন হাত মাটিমুখে করিয়া তাহার পৃষ্ঠে বাম হস্ত স্থাপন করত: উভয় অসুষ্ঠ পরিচালিত করাতে মৎস্য মুদ্রা বলে। এই মুদ্রা কৃত ভোগ পাত্রের উপরে "ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় স্বাহা” বলিয়া দশবার জগ করিবেন। তৎপর বামহস্ত চিত করিয়া অঙ্গুলি সকল প্রসারিত করতঃ, কিঞ্চিৎ বজ্র করিলে গ্রাস মুদ্রা হইবে। উক্ত মুদ্ৰা দেখাইয়া পরে ঘন্টাধ্বনী করত: গঙ্কগুষ্প হাতে লইযা অন্নব্যাঞ্জনাদি নিবেদন করিবেন।
অন্নব্যঞ্জনাদি নিবেদন মন্ত্রঃ
ওঁ অন্নব্যাঞ্জনং চতুববধং ।
রসোয়ৈ ষড়ভি সমন্বিতম উত্তম প্রাণদঞ্চৈব
গৃহান প্রভু জনাৰ্দ্দন: ॥
ইদমন্নব্যাঞ্জনং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ।
ভোগ পাত্রের উপরে তুলসীপত্র সহ গন্ধপুষ্প দিবেন। খিচুরী নিবেদন করিতে হইলে তাহার বাক্য পাঠ পৃথক হইবে।
খিচুরী নিবেদন মন্ত্রঃ
ওঁ গব্য সর্পি: কর্পুরাদি নানা মধুর সংযুতম্ ।
ময়া নিবেদিম্ ভক্ত্যা কৃষ্ণারান্নাং গৃহ্যতাং প্রভু পরমেশ্বর। ইদং কৃষারান্নং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ।
মিষ্টান্ন নিবেদন মন্ত্রঃ
বাসিতম্। গব্য সর্পি: পয়োযুক্তং কর্পুরাদি সংযুতম্।
ময়া নিবেদিতং ভক্ত্যাপরমান্নং প্রতি গৃহ্যতাম্ ॥
ইদং পরমান্নং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ।
গন্ধপুষ্প তুলসীপত্র দিয়া নিবেদন করিবেন। তৎপর পঞ্চ প্রাণাহুতি মুদ্রাক্রমে একটু করিয়া জল দিবেন। মুদ্রাক্রম যথা, পঞ্চ প্রাণাহুতি মুদ্রা। দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুষ্ঠ, কনিষ্ঠা ও অনামিকা যোগে, “ওঁ প্রাণায় স্বাহা”, তৎপর অঙ্গুষ্ঠ, তজ্জনী ও মধ্যমা যোগে, “ওঁ অপনায় স্বাহা,” তারপর অঙ্গুষ্ঠ, মধ্যমা ও অনামিকা যোগে, ওঁ সমানায় স্বাহা," পর কনিষ্ঠা বাদে চতুরাঙ্গুলি যোগে, “ওঁ উদানায় স্বাহা, " পঞ্চাঙ্গুলি যোগে, ওঁ ব্যানায় স্বাহা। এই রূপে পঞ্চপ্রাণাহুতি মুদ্রায় একটু করিয়া জলদানের পর পুনঃকুশীতে জল লইয়া, “ওঁ অমৃতপিধানমসিস্বাহা,” বলিয়া উক্ত জল ভোগ পাত্রে প্রদান পূর্ব্বক পানার্থ জল দিবেন। যথা, ইদং পানার্থ জলং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নম:, ইদং পুনরাচ মনীয়ম্ জলং ওঁ কৃষ্ণায় নমঃ, এতত্তাম্বুলং ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নম: । এষ সচন্দন গন্ধ পুষ্পাঞ্জলি ওঁ ক্লীং কৃষ্ণায় নমঃ ।
স্তব পাঠ
ওঁ অয়িনন্দ তনুজ কিঙ্করং পতিতং মাংঘোর বিষমে। তবাম্বুদৌ কৃপয়া তৎপদং পঙ্কজং স্থিতম্ ॥
ধুলি সদৃশং বিচিন্তয়েৎ হরিগুরু ।
শ্রীমতি রাধা রাণীর ভোগ নিবেদন
একই অনুকরণে ভোগ নিবেদন করিবেন। শুধুমাত্র বীজ মন্ত্রাদি পৃথক বলিয়া জানিবেন। নিম্নে তাহা বর্ণিত হইল। যথা,
অন্ননিবেদন মন্ত্রঃ
ওঁ অন্নব্যঞ্জনং চতুবিধং রসৌয়ে ষড়তি সমন্বিতাম্। উত্তম প্রাণদঞ্চৈব গৃহান দেবী পরমেশ্বরী ॥
ইদমন্নব্যঞ্জনং ওঁত্রী শ্রীং রাধিকায়ৈ নমঃ।
খিচুরী নিবেদন মন্ত্রঃ
ওঁ গব্যসপি: কর্পুরাদি নানা মধুর সংযুতম্ ।
ময়া নিবেদিতম্ ভক্ত্যা কৃষারান্নং গৃহ্যতাং দেবীরাসেশ্বরী৷
ইদং কৃষারান্নং ওঁ হ্রীং শ্রীং রাধিকায়ৈ নমঃ ।
মিষ্টান্ন নিবেদন মন্ত্রঃ
ওঁ গব্যসর্পি: পয়োযুক্তং কর্পুরাদি সুবাসিতম্।
ময়া নিবেদিতম্ ভক্ত্যা পরমান্নং প্রতিগৃহ্যতাম্ ॥
ইদং পরমানং ওঁ হ্রীং শ্রীং রাধিকায়ৈ নমঃ।
এইভাবে সকল দ্রব্য নিবেদন করত: এবং তাহাতে গন্ধ পুষ্প দিয়া মৎস্য মুদ্রায় আচ্ছাদন পূৰ্ব্বক "ওঁ হ্রীং শ্রীং রাধিকায়ৈ নম: এই বীজমন্ত্র: দশবার জপ করত:, পরে উক্ত মন্ত্রে পানার্থ ও গুন: রাচমনীয় দিবেন। তৎপর “ইদং তাম্বুলং ওঁ হ্রীং . শ্রীং রাধিকায়ৈ নম:" গন্ধপুষ্প দিবেন। এষ সচন্দন গন্ধ পুষ্পাঞ্জলি ওঁ হ্রীং শ্রীং যাধিকায়ৈ নম:। ইহা তিনবার দিবেন। তৎপর প্রণাম বাক্য পাঠ করিবেন। ইহার পর যথা শক্তি জগ করিয়া, জপ বিসর্জ্জন করত পূজা সমাপ্ত করিবেন। যেখানে ভোগের কার্যাদি করিতে হইবে সেই স্থানে ভোগাদি কার্য্য সমাধানের পর আরতি করিবেন। নতুবা ইতিপূর্ব্বে যাহা নিরুপিত হইয়াছে তাহাই সঠিক থাকিবে। অতএব এই স্থানে আর নতুন করিয়া আরতি বিধিমালা লিখিত হইল না।
#tag;ভোগ নিবেদন মন্ত্র,ভোগ নিবেদন করার মন্ত্র,ভোগ নিবেদন,ভোগ নিবেদন পদ্ধতি,ভোগ নিবেদনের নিয়ম,শ্রী কৃষ্ণের ভোগ নিবেদন মন্ত্র,ভোগ নিবেদন করার সহজ পদ্ধতি,কিভাবে ভগবানকে ভোগ নিবেদন করবেন,বাড়িতে ভোগ নিবেদনের নিয়ম,ইসকনের ভোগ নিবেদন,কিভাবে ভোগ নিবেদন,ঠাকুরের ভোগ নিবেদন,ভোগ নিবেদন করার নিয়ম,ভোগ নিবেদনের নিয়ম,বাড়িতে বসে ভোগ নিবেদন করা,ভোগ নিবেদনের পদ্ধতি,ভোগ নিবেদনের মন্ত্র,গোপালের ভোগ নিবেদন মন্ত্র,ঠাকুরের ভোগ নিবেদন মন্ত্র,ভোগ নিবেদনের সঠিক নিয়ম,ভোগ,ভোগ নিবেদন বিধি,ভোগ নিবেদন মন্ত্র,ভোগ নিবেদন করার মন্ত্র,ভোগ নিবেদনের নিয়ম,ভোগ নিবেদন পদ্ধতি,ভোগ নিবেদন,ভোগ নিবেদন করার নিয়ম,ভোগ নিবেদনের মন্ত্র,ভোগ নিবেদনের নিয়ম,ভোগ নিবেদনের পদ্ধতি,ভোগ নিবেদন করার নিয়ম ও পদ্ধতি,ভোগ দেয়ার নিয়ম,