রাধা কৃষ্ণের ভোজন আরতি কীর্ত্তন
কেহ যদি কোন মঙ্গল অনুষ্ঠানে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণের ভোগ দিতে মনস্থ করেন; তবে সেইস্থানে শ্রীগোবিন্দের ভোগের সময় ভোজন আরতী কীর্ত্তন করা একান্ত আবশ্যক। শ্রাদ্ধাদি বাড়ীতে স্বর্গীয় আত্মার মঙ্গলার্থে, শ্রীগোবিন্দের প্রীতিলাভার্থে তাঁহার সেবা ও পূজা করা অত্যন্ত মঙ্গলকজন কলিয়া মনে করি। অতএব সেইস্থানে যথা শক্তি শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের সেবার নিমিত্ত ভোগের আয়োজন করিবেন।
![]() |
রাধা কৃষ্ণের ভোজন আরতি কীর্ত্তন |
মধ্যাহ্নকালে কীৰ্ত্তন
ভজ গোবিন্দ মাধব গিরিধারী।
গিরিধারী গিরি, গোবর্দ্ধনধারী,
কেলী কলা রসো মনোহরী ॥
মধ্যাহ্ন কালেতেরাই, সূর্য্য পূজার ছলে।
আইলেন রাধাকুন্ডে মহাকুতু হলে।।
সখাগণ সহকৃষ্ণ যমুনা আসিলা।
রাধাকুন্ডে কতরঙ্গে জল কেলি কৈল্যা।
কেলি সমাপণ করি কুন্ড তীরে উঠি
করিলেন বেশভূষা মহাপরিপাটি।।
তবে কৃষ্ণ বসিলেন করিতে ভোজন।
পরিবেশন করে রাই আনন্দিত মন।
তুলসী মুঞ্জরী দিয়া করে নিবেদন।।
আনন্দে ভোজন করেন নন্দের নন্দন।।
দধিদুগ্ধ ঘৃত ছানা যত দ্ৰব্য কইল।
অমৃত জানিয়া সব সুস্বাদু হইল ॥
নিত্য কৰ্ম্ম পূজাবিধি।
ভোজন করিয়া কৃষ্ণ করিলেন আচমন।
কর্পূর তাম্বুল যোগায় প্রিয় সঙ্গীগণ।।
তাম্বুল খাইয়া কৃষ্ণ করিলেন শয়ন।
সখীগণ সঙ্গে রাই করে প্রসাদ সেবন।।
তবে সব সন্দ্বী মিলে রাই লৈয়া কোলে।
কৃষ্ণ পাশে শোয়াইল মহা কুতূহলে।।
করিতে লাগিল সবে বিবিধ সেবন।
সুখে নিদ্রা যায় দোহে যুগল রতন।।
যুগল হেরি সখীগণ আনন্দে বিভোর।
প্রেমে ভরিল চিত্ত সুখের নাহি ওর।।
কবে হেনদশা হবে যবে সখীগণ।
সেবা অভিলায় মাগে দাস নরোত্তম।।
সমাপ্ত।
ভোগের সময় ঠিক বেলা ১২টা হইতে ২টার মধ্যে সমাধান করা একান্ত কর্তব্য। ভোগ অন্তে “হরে কৃষ্ণ” মহানাম কীর্তন করিবেন। অতঃপর সমাপনী কীর্তন নাম । যথা,
সমাপণি কীৰ্ত্তন
হরি হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নম:।
যাদবায় মাধবায় কেশবায় নমঃ ॥
গোপাল গোবিন্দ রাম শ্রীমধুসুদন।
গিরিধারী গোপীনাথ মদন মোহন।।
শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত সীতা।
হরিগুরু বৈষ্ণব ভাগবত গীতা।।
জয়রূপ সনাতন ভট্ট রঘুনাথ।
শ্রী জীব গোপাল ভট্ট দাস রঘুনাথ।।
এই ছয় গোঁসাঞির করি চরণ বন্দন।
যাহা হইতে বিঘ্ননাশ অভিষ্ঠ পুরণ।
এই ছয় গোঁসাঞি যাঁর মুইতাঁর দাস।
জনমে জনমে হও এই অভিলাষ।।
এই ছয় গোঁসাতি যবে করুণা করিবে।
ব্রজে গিয়া রাধাকৃষ্ণ অবশ্য পাইবে।।
তাঁদের চরণ সেবি ভক্ত সনে বাস।
তা সবার পদরেণু মোর পঞ্চগ্রাস।।
এই ছয় গোঁসাঞি যবে ব্ৰজে কৈলা বাস।
রাধাকৃষ্ণ নিত্যলীলা করিলা প্রকাশ ।।
তাল চট্কা।
আনন্দে বল হরি ভজ বৃন্দাবন।
কেশীঘাট বংশীবট নিকুঞ্জ কানন।।
মা যশোদা পিতা নন্দ গোপ গোপীগণ।
ললীতা বিশাখাদি যত শঙ্খীগণ।।
আনন্দে............ভজবৃন্দাবন।
শ্রীদাম সুদাম দাম বসুদাম, যত সখাগণ ॥
শ্রীরূপ মুঞ্জরী আদি মুঞ্জরীর গণ ॥
আনন্দে............ভজ বৃন্দাবন।
রাধাকুন্ড শ্যাম কুন্ড গিরি গোবন্ধন।
তাল খেজুর তমালাদি দ্বাদশ কানন।
আনন্দে...... ভজবৃন্দাবন।
শ্রীগুরু বৈষ্ণব পদে মজাইয়া মন।
সর্বেমিলে কর দয়া মুই অভাজন।।
শ্রী গুরু বৈষ্ণব পাদ-পদ্ম করি আশ।
নাম সংকীর্তন কহে নরোত্তম দাস।
হরিবল হরিবল হরিবোল বল।
ও নিতাই গৌরহরি বোল হরিবল !
সমাপ্ত।
এই রূপে নাম সমাপণী কীর্তন শেষ করিয়া সমস্বরে প্রেম ধ্বনী ও জয় উচ্চারণ করিবেন।
#tag;ভোগ আরতি কীর্তন,মহাপ্রভুর ভোজন আরতি,ভোগ আরতি,আরতি কীর্তন,ভোগ আরতি কীর্তন বাংলা,হরে কৃষ্ণ কীর্তন,অসাধারণ ভোজন আরতি,ভোজন আরতি,ভোজন আরতি কীর্তন,মহাপ্রভুর ভোজন আরতি কীর্তন,কৃষ্ণ নাম কীর্তন,সন্ধ্যা আরতি কীর্তন হরে কৃষ্ণ,ভজন কীর্তন,এক নাম কীর্তন,ভোগ আরতির গান,ভোগ আরতি কীর্তন গান,মহাপ্রভুর ভোগ আরতি কীর্তন,কৃষ্ণ কীর্তন,মধ্যাহৃ ভোগ আরতি কীর্তন,ভোগ আরতি কীর্তন মায়াপুর,সন্ধ্যা আরতি কীর্তন
ধন্যবাদ লেখককে।।