বেদ নাকি গীতা কোনটি অনুসরণ করা উচিত
বেদ এবং গীতার কি আলাদা উদ্দেশ্য? গীতাকে কেন বেদের সারাতিসার বলা হয়? সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন বেদ হচ্ছে সনাতন ধর্মের প্রধান ও আদি ধর্ম গ্রন্থ, বেদ শব্দের অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বেদ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা নিচে দেওয়া হল। বেদ (সংস্কৃত: वेद veda, "জ্ঞান") হল প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান-সংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন।
বেদ নাকি গীতা |
কারণ, সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় স্মৃতি (যা স্মরণধৃত হয়েছে) সাহিত্য। প্রচলিত মতে বিশ্বাসী সনাতন ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে, বেদ প্রাচীন ঋষিদের গভীর ধ্যানে প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই শাস্ত্র অধিকতর যত্নসহকারে রক্ষিত হয়ে আসছে। সনাতন মহাকাব্য মহাভারতে ব্রহ্মাকে বেদের স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বৈদিক স্তোত্রগুলিতে বলা হয়েছে, একজন সূত্রধর যেমন নিপূণভাবে রথ নির্মাণ করেন, ঠিক তেমনই ঋষিগণ অতি অমায়ায়ি দক্ষ জ্ঞানের সঙ্গে বেদ গ্রন্থনা করেছেন।বেদে মোট মন্ত্র সংখ্যা বিশ হাজার চারশ চৌত্রিশ (২০৪৩৪)টি।
হিন্দু ধর্ম অনুসারে বেদের সংখ্যা চার(৪): ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ আবার প্রত্যেকটি বেদ চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত।যথা- সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ), ব্রাহ্মণ (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও যজ্ঞাদির উপর টীকা) ও উপনিষদ্ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-সংক্রান্ত আলোচনা)কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।বেদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে থাকেন ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়। বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে ভারতীয় দর্শনের যে সকল শাখা এবং বেদকেই তাদের শাস্ত্রের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে,আর তাই সেগুলিকে আস্তিক শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
[note ১] অন্যদিকে ভারতীয় দর্শনের লোকায়ত, চার্বাক, আজীবক, বৌদ্ধ ও জৈন প্রভৃতি অন্যান্য শ্রামণিক শাখায় বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকৃত নয়। এগুলিকে "নাস্তিক" শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মতপার্থক্য থাকলেও শ্রামণিক ধারার গ্রন্থগুলির মতো বেদের বিভিন্ন স্তরের বিভাগগুলিতেও একই চিন্তাভাবনা ও ধারণাগুলি আলোচিত হয়েছে।। এখান থেকে আমরা জানতে পারলাম বেদ হচ্ছে অপৌরুষেয়, বেদ একটি শ্রুতি শাস্ত্র ( যা ভগবান সর্বপ্রথম স্রষ্টা ব্রহ্মা কে এই জ্ঞান দান করেন,ব্রহ্মা করেন নারদ কে, এভাবে গুরু পরম্পরা মাধ্যমে এই বেদের জ্ঞান প্রবাহিত হচ্ছিল) , বেদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান দান করা(ভগবানকে জানার জন্য ভগবান সম্বন্ধীয় জ্ঞান)।
পরাবিদ্যা আরেকটা হচ্ছে অপরাবিদ্যা দুই ধরনের বিদ্যার ও কথা বলা হয়েছে বেদে।
এ থেকে এখন আলোচনার বিষয় দাঁড়ায় হিন্দু অবলম্বনকারীরা /ধর্মাবলম্বীরা বেদ কে কতখানি আপন করে নিয়েছেন সেই বিষয়ে।
বেদ মানবে কি মানবে না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা!
তাহলে তার পেছনে কী যুক্তি থাকতে পারে যদি বেদকে যদি মানা হয় এবং যদি না মনে হয় তার পিছনে কিছু থাকতে পারে।
আমরা বেদের জ্ঞান কতটুকু গ্রহণ করব ও কেন গ্রহণ করব এছাড়াও আরো প্রশ্ন থাকে যে যদি বেদ কে মানা হয় তাহলে বেদের জ্ঞান কতটুকু গ্রহণ করব আমরা, আর কতটুকু ত্যাগ করতে হবে।।
বেদ কে প্রধান্য দেন না অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বীরা , তারা প্রধান্য দেন গীতা কে...! (তবে বেদের সত্যতা স্বীকার করে )
তার কি কারন থাকতে পারে.?
সেটা ই আমি আলোচনা করব...।
এবার আসি গীতা প্রসঙ্গে..
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে এই গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন, সেহেতু গীতা ও একটি স্মৃতিশাস্ত্র।
এই গীতার জ্ঞান যে বেদের জ্ঞান তাতে কোনো মাত্র কোনো রকম সন্দেহ নেই।
কারণ আমরা শ্রী ভগবত শ্রীকৃষ্ণের বাণী গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের এক থেকে তিন নম্বর শ্লোক পড়লে জানতে পারি,
সেখানে বলা হয়েছে,
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবস্বান কে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্ম সাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। সূর্য তা মানব জাতির জনক মনু কে বলেছিলেন এবং মনু তা ইক্ষাকুকে বলেছিলেন। ৪/১
এভাবেই পরম্পরার মাধ্যমে প্রাপ্ত এই পরম বিজ্ঞান রাজর্ষিরা লাভ করেছিলেন। কিন্তু কালের প্রভাবে পরম্পরা ছিন্ন হয়েছিল এবং তাতে সেই যোগ নষ্ট প্রায় হয়েছে। ৪/২
সেই সনাতন যোগ আজ আমি তোমাকে বললাম, কারণ তুমি আমার ভক্ত ও সখা এবং তাই তুমি এই বিজ্ঞানের প্রতি অতি গূঢ় রহস্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে। ৪/৩
এটুকু থেকে আমরা বুঝতে পারি যে ভগবান কে জানার বা এই গীতার জ্ঞানকে জানতে জ্ঞান তা বেদের ই জ্ঞান যা পরম্পরায় মাধ্যমে আসার কথা ছিল, কিন্তু সেই জ্ঞান পরম্পরা ছিন্ন হবার ফলে সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং প্রকট হয়ে আবার সেই জ্ঞান পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।
মহাভারতে উল্লেখিত আছে ব্রহ্মা কে বলা হয়েছে বেদের স্রষ্টা,,
আর ব্রহ্মসংহিতা উল্লেখ করা আছে ৫/৫২
যচ্চক্ষুরেষ সবিতা সকল গ্রহানাংরাজা
সমস্তসূরমূর্তিরশেষতেজাঃ।
যস্যাজ্ঞায়া ভ্রমতি সংভৃতকালচক্রারূঢ়
গোবিন্দমআদিপুরুষং তমহং ভজামি।।
অনুবাদ: ব্রহ্মা বলছেন সমস্ত গ্রহের রাজা অশেষ তোজোবিশিষ্ট সুরমূর্তি সবিতা বা সূর্যজগতের চক্ষু স্বরূপ(সূর্যদেব)। তিনি যার আজ্ঞায় (পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ) কালচক্রারুঢ় হয়ে ভ্রমণ করেন, সেই আদি পুরুষ গোবিন্দ কে (শ্রীকৃষ্ণকে) আমি ভজনা করি.।।
আমরা ভগবদ্গীতার ইতিহাসের উল্লেখ পাই মহাভারতের শান্তিপর্ব ৩৪৮/৫১-৫২ ।
""সেখানে বলা আছে ত্রেতাযুগের প্রারম্ভে বিবস্বান মনুকে ভগবত তত্ত্ব জ্ঞান দান করেন। মানবসমাজের পিতা মনু এই জ্ঞান তার পুত্র সসাগরা পৃথিবীর অধীশ্বর এবং রঘুবংশের জনক ইক্ষাকু কে দান করেন, এই রঘুবংশের শ্রীরামচন্দ্র আবির্ভূত হন""
সুতরাং ভগবত গীতা মহারাজ ইক্ষাকুর সময় থেকেই মানবসমাজে বর্তমান.....এই শ্লোক গুলো থেকে প্রমানিত হয় যে এই বৈদিক জ্ঞান যা সৃষ্টির শুরুতে ব্রক্ষ্মা পেয়ে ছিল এবং তা বেদ আকারে আসে,গীতা আকারে নিয়ে আসেন সেই একই জ্ঞান তা আবার ভগবান সয়ং প্রকট হয়ে ।
কেন আনলেন.?
শুধু আমাদের কথা চিন্তা করে, আমরা যাতে সহজেই কৃষ্ণ ভক্তি লাভ করতে পারি সে জন্যই ভগবান করুনা বসত আমাদের সেই বেদের বিজ্ঞান বা জ্ঞান গীতার মধ্যে দেন।
সুতরং গীতা আর বেদে পার্থক্য কিছুই নেই।
তবে হ্যা কিছু আছে, সেটা হল বেদে এমন কিছু সিদ্ধান্ত আছে যা কলিযুগের জন্য প্রযোজ্য নয়, এমন সব সিদ্ধান্ত ভগবান নিজেই বাদ দিয়ে গীতা প্রকট করালেন।
এটা হল শাস্ত্রিয় কথা।
কিন্তু কেউ যদি এখন বলেন যে এসব কথা মানি না, এর বিজ্ঞান ভিত্তিক কোন প্রমান আছে কিনা.?
ধর্ম সনাতন হলে আবার পরিবর্তন আসে কি করে.?
তাদের জন্য বলব,,, ধরুন, আপনাকে যদি দুধ খেতে দেওয়া হয় তবে আপনি কি করবেন পুরো দুধটুকু খেয়ে নেবেন তাই তো, কিন্তু যদি রাজহাঁস কে দুধ খেতে দেওয়া হয় তাহলে কি করবে জানেন, এটা রাজহাঁসের ঈশ্বরপ্রদত্ত গুণ, সে দুধে থাকা যে জল আছে সে জল টুকু আলাদা করে শুধু দুধের ক্রিম টুকু গ্রহণ করে। ভগবান একমাত্র গ্রন্থ দিয়েছেন গীতা আমাদের কলিযুগের জন্য , গীতাতে যতটুকু আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাদের ঠিক ততটুকুই পালন করা উচিত এর বেশিও নয় এর কমও নয়। গীতার নির্দেশনা আর রেফারেন্স সহ জানতে হলে অন্য গ্রহন্থ গুলো সাপোর্ট করতে পারে। কিন্তু অন্যান্য গ্রন্থ গুলোকে মানার জন্য গীতা নয়, গীতাকে জানার জন্য অন্ন গ্রন্থ গুলো পরা যেতে পারে। শ্রীমৎ ভগবত গীতা তে এমন কোন তথ্য উল্লেখ নাই বা কথা অন্য গ্রন্থে থাকলেও মানা যাবে না। ( এমন এক তথ্য ইসলাম ধর্মের এক মুসলিম ভাই বলেছেন তার ধর্ম সম্পর্কে, যে কোরানে উল্লেখ নাই এমন কোন দলিল কোন হাদিসে থাকলেও তা মানা যাবে না, কেননা হাদিস আল্লাহ নাজিল করেন নি, তিনি কোরান নাজিল করিয়েছেন) আর গীতাও সয়ং ভগবান দিয়েছেন। আর সংহিতা,পুরান,বেদ, বেদান্ত সূত্র, রামায়ন, মহাভারত, বা অন্যান্য গ্রন্থ বিভিন্ন মুনিরা লিখেছেন। এ সকল গ্রন্থের জ্ঞান মুনিদের রচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভগবান কে জানা, কিন্তু ভগবান যদি সয়ং কোন জ্ঞান দান করেন তাহলে আপনি কোনটা নিবেন.? ভগবানের নির্দেশিত টা নাকি ভগবানের সৃষ্টি করা মুনিদের কথা যারা কিনা ভগবানের দাস। অবশ্যই ভগবানের কথা ই মানবেন.! যদি বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তি চান তবে এটা বিবেচনা করুন যে। সকল মানুষ সব সময় আপডেট কিছু খোজে.! খোজে কিনা.? টিভি, ফ্রীজ, মেবাইল, পোশাক, জুতার ডিজাইন, সব কিছুতে নতুনত্ব চায়। কিন্তু বিবেচনা করুন, ধরুন একটা টিভি কে আমরা যুক্তি হিসেবে নিলাম। ইতিহাস থেকে জানা যায় টেলিভিশনের আবিষ্কার শুরু হয়েছিল 1884 সালে, এবং 1926 সালে প্রথম লেগি বেয়ার্ড টেলিভিশন আবিষ্কার করতে সক্ষম হন যাতে সাদা কালো রং এ চিত্র দেখা যেত। সেই ১৯২৬ সাল থেকে আজ ২০২১ সাল পর্যন্ত যে টিভি গুলো আসছে তা লক্ষ্য করুন। বর্তমান টিভি গুলো দেখুন কতটা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে আপডেট হয়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হল কিন্তু টিভি কোম্পানি কি ১৯২৬ সালের ব্যবহৃত সকল কিছু পার্টস এখন আর ব্যাবহার করেন না.? অবশ্ই করে থাকেন কারন old is gold. তখন কার টিভিতে এ্যান্টেনার জন্য ক্যাবল সংযোগ ছিল, বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হত, এখোনো হয়। আগে যে সমস্ত পার্টস গুলো ব্যবহার করা হতো এখনো সেই পার্টস গুলা অনেক অংশে ব্যবহার করা হয়। ডিসপ্লে, স্পিকার, পিকচার টিউব, মাদারবোর্ড সব ই ব্যাবহার হত আর এখোনো হয়। তবে টিভি আগের ডিজাইন বা কোয়ালিটি থেকে এখন স্মার্ট বা ফ্লাট মনিটর টিভিতে কিভাবে রুপান্তর করলেন.? এর কথাটির প্রতি উত্তর হল প্রযুক্তিবিদরা যদিও অ্যানালগ টিভির থেকে অনেক কিছু অংশ বাদ দিয়ে নতুন স্মার্ট টিভিতে নতুন কিছু নতুনত্ব যোগ করছেন আলাদা আলাদা ক্যবল গুলো বাদ দিয়ে মাদারবোর্ড এর ভিতরেই সেই সিস্টেম টা করে নিয়েছেন যে আগে ক্যাবল দিয়ে করা হত। আলাদা আলাদা পার্টস গুলো সরিয়ে কিভাবে একটা পার্টস অনেক গুলো কার্য ভালোভাবে করতে পারে এমন পার্টস লাগানো হল, কাচের ডিসপ্লে থেকে led ডিসপ্লে লাগানো হলো, আগে যা যা ব্যাবহার করা হত এখোনো তাই হয় শুধু পরিবর্তন এসেছে প্রযুক্তির।
আর তাতে আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেকটা সহজ এবং উন্নত হয়েছে, আগের টিভি দেখতে আমাদের যতটা না কষ্ট হতো তার থেকে এখন শত ভাগের এক ভাগ কষ্ট করতে হয়না এই নতুন স্মার্ট টিভি দেখার ক্ষেত্রে। এখন বিবেচনা করুন আপনি কোন টিভি দেখবেন সেই ১৯২৬ সালের এনালগ টিভি নাকি 2021 সালের স্মার্ট টিভি.? (১৯২৬ সালের টিভি কিন্তু আদি টিভি,চাইলে দেখতে পারেন) আমার মনে হয় অবশ্যই ইস্মার্ট টিভি দেখবেন যাতে আপনি সহজ ও সাবলীল ভাবে জীবন যাপন করতে পারেন। ঠিক তেমনি ভগবান আমাদের কথা চিন্তা করে আমরা যাতে সহজ সুন্দর ও সাবলীল ভাবে জীবন যাপন করতে পারি সেজন্য তিনি গীতাকে প্রকট করালেন... এক কথায় বলা যায় এই গীতা হলো সমস্ত বৈদিক সাহিত্যের আপডেট ভার্সন....! যা আমরা অতি সহজ সহজেই গ্রহণ করতে পারি সেই জন্য সহজভাবেই ভগবান আমাদেরকে এইরূপ জ্ঞান ও বিধান দিয়ে গেলেন।আপনি যদি এই আপডেট ভার্সন না নিয়ে যদি ১৯২৬ সালের টিভি দেখবার মতন পূর্বের এনালগ ভার্সন যেমন বেদ, বেদাঙ্গ, পুরান,সংহিতা, রামায়ন, মহাভারত আরো নানা গ্রন্থ যদি পরতে যান বা সেই নিয়মানুসারে চলতে যান তবে তা খুবই কঠিন, বিভ্রান্ত ও বিপথগামি ই হবে। তবে এটা তো অবশ্যই বুজতে পারছেন যে ওই সকল গ্রন্থের যে যে বিষয় গুলো মানব জীবনের জন্য দরকার এবং আবশ্যক সেই বিষয় গুলোই ঠিক রেখেই সহজলভ্যভাবে ভগবান সয়ং প্রকট হয়ে পুঃন নির্দেশ দিয়ে গেলেন। তাই আমাদের শুধু গীতাকেই মানা দরকার তাতে আমাদের পারমার্থিক উন্নতি সহ সহজ জীবন যাপন করতেও বেশ সমাদর ই হবে.. ... তবে ওই সকল গ্রন্থ থেকে যে বিষয় গুলো গীতার সাথে সামঞ্জস্য আছে শুধু সেটুকো গ্রহন করতে হবে, যা সামঞ্জস্য নেই সে টুকো ত্যাগ করতে হবে। আমি বুঝাতে পেরেছি নিশ্চয়...
মন্তব্য ঃমহাপবিত্র বেদ-বেদান্তই হচ্ছে হিন্দুদের একমাত্র প্রামাণ্য ধর্মগ্রন্থ । গীতা হচ্ছে একটি অলীক ধর্মগ্রন্থ যা ব্রাহ্মণ্যবাদীরা তথাকথিত নিম্ন বর্ণের মানুষকে কিভাবে শোষণ করতে হবে তার বিধান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং গীতা হচ্ছে বর্ণবাদের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক প্রবর্তক । শুধু তাই নয়, মপ. বেদ-বেদান্ত যেখানে পরমেশ্বরের স্বরূপ বর্ণনা করেছে যে পরমেশ্বর নিরাকার, নিরবয়ব, সয়ম্ভূ এক জ্যোতির্ময় পরম দৈবসত্তা সেখানে গীতা মানব গর্ভে জন্মগ্রহণকারী কৃষ্ণকে বানিয়েছে পরমেশ্বর ।
বেদ নাকি গীতা,বেদ বনাম গীতা,গীতা vs বেদ,বেদ এবং গীতা,গীতা vs বেদ,বেদ ও গীতা,বেদ বনাম গীতা,বেদ নাকি গীতা,বেদ এবং গীতা,বেদ ও গীতা পাঠ,বেদ ও গীতার ব্যাখ্যা,বেদ ও গীতার মধ্যে পার্থক্য কি ?,বেদ ও অন্যান্য ধর্মের গ্রন্থ,হিন্দু ধর্মের ধর্মগ্রন্থ কোনটি বেদ না গীতা, একজন প্রকৃত হিন্দু কে বেদ পরা উচিত নাকি গীতা, বেদ এবং গীতার কি আলাদা উদ্দেশ্য,কোনটি অনুসরণ করব গীতা না বেদ,গীতাকে কেন বেদের সারাতিসার বলা হয়,
হরেকৃষ্ণ-- সীমা সরকার
মহাশয়, মহাপবিত্র বেদ-বেদান্তই হচ্ছে হিন্দুদের একমাত্র প্রামাণ্য ধর্মগ্রন্থ । গীতা হচ্ছে একটি অলীক ধর্মগ্রন্থ যা ব্রাহ্মণ্যবাদীরা তথাকথিত নিম্ন বর্ণের মানুষকে কিভাবে শোষণ করতে হবে তার বিধান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং গীতা হচ্ছে বর্ণবাদের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক প্রবর্তক । শুধু তাই নয়, মপ. বেদ-বেদান্ত যেখানে পরমেশ্বরের স্বরূপ বর্ণনা করেছে যে পরমেশ্বর নিরাকার, নিরবয়ব, সয়ম্ভূ এক জ্যোতির্ময় পরম দৈবসত্তা সেখানে গীতা মানব গর্ভে জন্মগ্রহণকারী কৃষ্ণকে বানিয়েছে পরমেশ্বর ।
আহা কী বুঝালেন 🥱🥱
তা দাদা গীতার আসল শ্লোক সংখ্যা কয়টা জানেনত??
দাদা গীতায় যে শ্রী কৃষ্ণ বিশ্বরূপ দেখিয়েছে তা আর কাকে কাকে দেখিয়েছে সেটা জানেনত??
দাদা শ্রী কৃষ্ণ যে গীতার জ্ঞান দিয়েছেন তা যে বেদ থেকেও শ্রেষ্ঠ সেটা কোথায় বলেছে দাদা?? 🙄🙄🥱
দাদা এই যে উদাহারণ দিলে তা দাদা পুরনো টিভি কী মানবেন বা যা থেকে এই সব নতুন ভার্সন এর টিভি আসল? 🙄
দাদা শ্রী কৃষ্ণ বলেন কেন তিনি নিরাকার??
কারণ যখন গীতার জ্ঞান দেন তখনত অর্জনু এর সামনে শরীর ধারী ছিল 🙄🥱 তাহলে তিনি পরমব্রহ্ম হলেন কী করে?? কারণ একবার বলে আমি নিরাকার আবার বলে আমার আকার আছে
তা দাদা শ্রী কৃষ্ণ ত পরমব্রহ্ম তাহলে তিনি পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়ে গীতার জ্ঞান কেন দেন?? বা সব সময় পুরুষ হয়েই কেন অবতার নেন?? 🙄🙄 কেন তিনি পরমব্রহ্ম থেকে পুরুষ রূপে পৃথিবীতে আসেন জ্ঞান দিতে?? উনার কী নারী রূপে এসে জ্ঞান দেওয়া পছন্দ না 🙄🙄??