সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই উক্তিটি সত্য নাকি মিথ্যা

বৈষ্ণব কবি চন্ডীদাস লিখেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই এই কথাটি কিন্তু উক্তিটি সত্য /মিথ্যা যুক্তি সহ বুঝিয়ে বলুন.


বৈষ্ণব কবি চন্ডীদাসের লেখায়  মোটামোটি  তিনটি দিক বিশেষভাবে আমাদের দৃষ্টি গোচর করে থাকে,যথা-

এক. হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রেফারেন্স মানুষ কবিতায় এমনভাবে সমান্তরালভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, মানবিক মহত্বের ঘোষণার সাথে সাথে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের অনুভূতি তৈরি হয়। ধর্মপ্রচারকদের শেষ বয়সের ত্রাণকর্তার ধারণা আসার পর, দুই ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ প্রচারকদের উদাহরণ অনুসরণ করে রাখাল এবং কৃষক হিসাবে কাজ করে।

দুই. পরস্পরবিরোধী জনগণের এই ধরনের উপস্থাপনা অবশ্যই মিলনের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ হতে হবে। এই ধরনের আকাঙ্ক্ষা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক। পুনর্মিলনের ইচ্ছা কেবল দুটি ভিন্ন ধর্মের মধ্যেই নয়, একই ধর্মের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যেও সক্রিয়। এর প্রমাণ হল কবিতায় হিন্দুধর্মের উল্লেখের পরিমাণ বেশ বেশি। কারণ, সেই সমাজে বর্ণ বৈষম্যের সংকট প্রবল।

তিন. কবিতার উদ্দেশ্যে পাঠক অবশ্যই একজন নিরীহ ভদ্রলোক হতে হবে। তারা নিপীড়িত সমাজের অংশ নয়, তারা নিপীড়কও নয়। কবি তাদের কাছে এমনভাবে পৌঁছাতে চান যে তারা যদি তাদের অচেতন মনের মধ্যে চেতনাকে আঘাত করতে পারে, তাহলে তা নিপীড়িতদের কল্যাণের কারণ হবে। তিনি শুধু তত্ত্ব পরিবেশন করতে আগ্রহী নন। তিনি কাজ চান এবং মানুষের মনকে স্পর্শ করতে চান যারা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণের কারণ হবে।

ধর্মীয় ব্যাখ্যাঃ সবার উপর মানুষ সত্য,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ছবি,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই কবিতা,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই উক্তিটি কার,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাবসম্প্রসারণ,ভাব সম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই,ভাবসম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাব সম্প্রসারণ,ভাবসম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ তাহার উপরে নাই

সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। বাংলার মধ্যযুগের এক কবি বড়ু চণ্ডীদাস উচ্চারণ করেছিলেন মানব-ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক বাণী।  সমগ্র বিশ্ব যখন হিংসায় উন্মত্ত, রক্ত ঝরছে যখন পৃথিবীর নরম শরীর থেকে, তখন এই বাংলার এক কবি বিশ্বকে শুনিয়ে ছিলেন মানবতার অমর কবিতা।  আমরা তাঁরই উত্তরাধিকার। আমরা উত্তরাধিকার ‘চর্যাপদ’ থেকে ‘গীতাঞ্জলি’।  পদ্মা, গঙ্গা, বঙ্গোপসাগরের কূলে কূলে সহস্র বছর ধরে যে মানুষের বসবাস, তাদের সংগ্রামী জীবনের উত্তরাধিকার আমরা। সে জীবন অবিভাজ্য মানুষের। সে জীবন শ্রম ও আনন্দের। শান্তি ও সমন্বয়ের। প্রকৃতি ও পুরানের সংশ্লেষে গঠিত।

ব্যাখ্যাঃ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের প্রায় একশত বছর আগে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ছয়শত বছর আগে বৈষ্ণব সাহিত্যে চন্ডীদাসের লেখা রাধাকৃষ্ণ সম্নন্ধীয় বেশ কিছুপদাবলী পাওয়া যায়. কিন্তু অধিক জনপ্রিয় এবং অধিক মান্যপ্রায় মনে হয় শাস্ত্রীয় বানী ইহা একান্ত কর্তব্য " সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই " এই কথাটি বৈষ্ণব পদাবলী গ্রন্থে পাওয়া যায় না এবং এটি রাধাকৃষ্ণ সম্নন্ধীয় ও নয়. 

অতএব উক্তিটি বৈষ্ণব কবি চন্ডীদাসের লেখানয়." এটি কোন আধুনিক কবির রচনা "মানুষ কখনোই সবার উপরে হতে পারে না.কারণ শুধু মানুষ কেন সমস্ত দেব দেবীরাও পরম নিয়ন্তার অধীন. মানুষ নামটি এসেছেপুর্বপুরুষ মনু থেকে.আর ভগবদ্ভক্ত মনুই মানব সৃষ্টি হয়েছে  জাতির  পিতা মহান ঋষি মাধ্যমে কিন্তু সে সব ভুলে গিয়ে আমরা ভাবছি আমাদের পুর্বপুরুষ হচ্ছে বানর এবং তার বিরর্তিত রূপ কাঁচা মাংসভুক্ অসভ্যরাই হচ্ছে আমাদের পুরসূরী.ইহা ডারউইনবাদী মন্তব্য এবং আমরা যা সত্যিই বলে মানছি.আপনাদের নিকট " ওপেন চ্যালেঞ্জ " যদি ডারউইনের বিবর্তনবাদ সত্যিই হয় যদি মেনেও নেই তবে আপাতত প্রমাণ দিন যে. যেকোন চিড়িয়াখানা.কারও নিজ বাড়ীস্থ কিংবা কোন বনে জঙ্গলে একটিও বানর কি মানুষ হয়েছে? কিংবা কোন বানরের শরীরের যেকোন একটি অংশ বিবর্তনে মানুষের শরীরের ন্যায় হয়েছে? অথবা দু চার বছর পরে কিংবা ছয়মাস. একবছর পরে মানুষ হবে. ?

আজ অবধিও একটি বানরও বিবর্তনে মানুষ হয়েছে?অতএব ডারউনের বিবর্তনবাদ ভুল.অন্তত কোটি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গৌন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা উল্লেখ করেছেন -ঈশ্বর পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃঅনাদিরাদির্গোবিন্দঃ সর্বকারণকারণম্.অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান সচ্চিদানন্দময়.তিনি সমস্ত কিছুর আদি এবং সমস্ত কারণের পরম কারণ.কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ভাবছে - শ্রীকৃষ্ণ কেন ভগবান হবেন? আমিই ভগবান. জীবের মাঝেই ভগবান বিদ্যমান.তাই আমরা ভালভাবেই জানি যে.এই ব্রহ্মাণ্ডের একটি ধুলিকণা পর্যন্ত মানুষ সৃষ্টি করেনি. তাহলে সে ভগবান হল কী করে? শুধু তাই নয় মানুষ পশুর চেয়েও অধম হয়ে পড়েছে  কলিযুগে। 

যে সমস্ত কদাচার অন্যান্য জীব জন্তুকে দেখা যায়না সেগুলো ও মানুষের মধ্যে দেখা যায়.দু একটা উদাহরণ দেওয়া যাক.যেমনঃ পরিবার পরিকল্পনার দোহাই দিয়ে গর্ভবতী মায়েরা আজকাল গর্ভস্থ শিশুদের হত্যা করছে. দেখা যায় হিংস্র পশুরভয় মানুষ করছে না বটে কিন্তু মানুষ সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে অপর মানুষকে .কারণ মানুষ কপটতা. বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা পারদর্শী. যা অনান্য জীবেরা পারে না.ইন্দ্রিয় ভোগ তৃপ্তির জন্য মানুষগনরা নানা রূপ ধারন করছে. যাঁর শাসন. আইন ও বিচার কার্য পরিচালনা করেন. তাঁরাও বৈদিক অনুশাসন চর্চা করেন না.

অগনিত জনগণ যতই যা করুক -শিক্ষা. সংস্কৃতি. অর্থনীতি. রাজনীতি. সমাজনীতি. সমস্ত দিকটাই নিরাশাব্যঞ্চকও উদ্বেগযুক্ত. কেউ সুখী নয়.সবাই স্থান কাল ও পরিবেশের অধীন. তাই মানুষ যদি মনে করে. সেসবার উপরে এবং তার জীবনটি সর্বাঙ্গ সুন্দর. তা হলে তা পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নয়.পরিশেষে বলা যায়.এই অনিত্য জগতে ক্ষণস্থায়ী অথচ সুদুর্লভ মানব জন্ম লাভ করে যদি কেউ পরম নিয়ন্তা পরম সত্যের অনুসারী না হয়. তবে যতই সে জ্ঞানী .গুনী মানী বা পন্ডিত হোক না কেন. তার চেতনা পশু স্তরেই আবদ্ধ থাকে. সুতরাং মানুষ কখনোই সবার উপরে নয়.পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণই হলেন পরম সত্য।

সবার উপরে মানুষ সত্য ছবি
সবার উপরে মানুষ সত্য ছবি


সবার উপর মানুষ সত্য,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ছবি,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই কবিতা,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই উক্তিটি কার,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাবসম্প্রসারণ,ভাব সম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই,ভাবসম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই,সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ভাব সম্প্রসারণ,ভাবসম্প্রসারণ সবার উপরে মানুষ তাহার উপরে নাই
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url