বিপদতারিনী বা বিপদনাশিনী কে ?
যিঁনি সমগ্র বিপদ থেকে রক্ষা করেন বা যিঁনি বিপদ সমূহ নাশ করেন তিনিই বিপদতারিনী । যিঁনি দুর্গা তিনিই বিপদতারিনী । বিপদতারিনী দেবীর পূজা পদ্ধতি বই গুলোতে জয়দুর্গার ধ্যানে পূজার বিধান আছে। তিঁনি পুরাণে কৌষিকীদেবী নামে খ্যাতা । আবার তিনিই জয়দুর্গা ।
সম্ভবত জয়দুর্গা, কৌষিকী ও বিপদতারিনী দেবী এক। দেবীর উৎপত্তি হয়েছিলো ভগবান শিবের অর্ধাঙ্গিনী দেবী পার্বতীর কোষিকা থেকে- তাই তিনি কৌষিকী । পুরাণ মতে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুরের হাতে দেবতারা পরাজিত হয়ে হিমালয়ে গিয়ে মহামায়ার স্তব করতে লাগলেন । সেই সময় ভগবতী পার্বতী সেই স্থান দিয়ে যাচ্ছিল্লেন। দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন – “ আপনারা এখানে কার স্তব করিতেছেন ?
বিপদতারিনী মাতার ছবি |
সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে তার মতন দেখতে আর এক জন দেবী বের হয়ে আসলেন । সেই নব আবির্ভূতা দেবী জানালেন – “ ইহারা আমারাই স্তব করিতেছেন ।” এই দেবী যুদ্ধে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক অসুরের বধ করেছিলেন । এই দেবী মোহাচ্ছন্ন শুম্ভাসুরকে অদ্বৈত জ্ঞান দান করে বলেছিলেন- “ ঐকেবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা । পশ্যৈতা দুষ্ট ময্যেব বিশন্তো মদবিভূতয়ঃ ।। ” ( এই জগতে এক আমিই আছি । আমি ছাড়া আমার সাহায্যকারিনী আর কে আছে ?
ওরে দুষ্ট ভাল করে দেখ , ব্রহ্মাণী প্রভৃতি শক্তি আমারই অভিন্না বিভুতি বা শক্তি । এই দেখ তারা আমার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ।”) আর একটি পৌরাণিক গাঁথানুসারে একদা ভগবান মহাদেব রহস্যচ্ছলে দেবী পার্বতীকে ‘কালী’ বলে উপহাস করেন। এতে দেবী ক্রুদ্ধ হয়ে তপস্যার মাধ্যমে নিজের “কৃষ্ণবর্ণা” রূপ পরিত্যাগ করলেন । সেই কৃষ্ণবর্ণা স্বরূপ দেবীই হলেন , দেবীর পার্বতীর অঙ্গ থেকে সৃষ্টা জয়দুর্গা বা কৌষিকীদেবী, বিপদতারিনীদুর্গা । দেবীর ধ্যান মন্ত্রঃ- ওঁ কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈররিকুলভয়দাং মৌলীবন্ধেন্দুরেখাম্ । শঙ্খং চক্রং কৃপাণং ত্রিশিখমপি করৈরুদ্বহন্তীং ত্রিনেত্রাম্ । সিংহাস্কন্ধাধিরুঢ়াং ত্রিভুবন – মখিলং তেজসা পুরয়ন্তীম্ । ধ্যায়েদ্ দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিদ্ধিকামৈঃ ।। এর অর্থ- কালাভ্র আভাং ( এর অর্থ দুই প্রকার হয়, একটি স্বর্ণ বর্ণা অপরটি ঘোর মেঘের ন্যায় ) ,
কটাক্ষে শত্রুকূলত্রাসিণী , কপালে চন্দ্রকলা শোভিতা, চারি হস্তে শঙ্খ, চক্র, খড়্গ ও ত্রিশূল ধারিণী, ত্রিনয়না, সিংহোপরি সংস্থিতা , সমগ্র ত্রিভুবন স্বীয় তেজে পূর্ণকারিণী , দেবগণ- পরিবৃতা , সিদ্ধসঙ্ঘ সেবিতা জয়াখ্যা দুর্গার ধ্যন করি । এই জয়দুর্গা বা কৌষিকীদেবী, বিপদতারিনীদুর্গা । পঞ্চদেবতার একজন । দেবীর অনেক রূপ দেখা যায়। উত্তর ভারতে অষ্টাদশ রূপের ধ্যান ও পূজা হয়, কোথাও দশভুজা রূপে পূজা হয়, কোথাও আবার চতুর্ভুজা স্বর্ণ বর্ণা আবার কোথাও কৃষ্ণ বর্ণা রূপে পূজিতা হয় । জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে মঙ্গল ও শণিবারে মায়ের পূজো হয় । যেখানে ১৩ প্রকার ফল, পুস্প, মিষ্টি, পান সুপারী অর্পণ করা হয়। আসুন মায়ের চরণে প্রনাম জানাই। মা যেনো সকলের সর্ব প্রকার বিপদনাশ করেন । # শ্রীকৃষ্ণের_বাণী
বিপদতারিনী পূজা,মা বিপদতারিণী বা বিপদনাশিনী আসলে কে,মা বিপদনাশিনী,বিপদনাশিনী,বিপদতারিনী ব্রত,বিপদনাশিনী পূজা,বিপদনাশিনী মন্ত্র,মা বিপদতারিনী,বিপদনাশিনী পূজার মন্ত্র,বিপদতারিনী পূজার নিয়ম,বিপদনাশিনী ব্রত,দেবী বিপদনাশিনী,বিপদনাশিনী মা,বিপদনাশিনী পূজা পদ্ধতি,বিপদনাশিনী পূজার গান,বিপদতারিনী কে,মা বিপদতারিণী ও বিপদকষিণী কে ?,মা বিপত্তারিনী পূজার বিধি,মা বিপত্তারিনী পূজার নিয়ম,মা বিপত্তারিণী ও বিপদকষিণী কে ?,বিপত্তারিনী পূজা কবে ও কখন,মা বিপদতারিনী পুজা