কর্ম বড় না ধর্ম বড় সঠিক কোনটি

ধর্ম বড় না কর্ম বড়

কর্মহীন ধর্ম কিংবা ধর্মহীন কর্ম–এই দুটির কোনটারই মূল্য নেই। তিন রকমের কর্ম আছে–যথাঃ পুণ্যকর্ম, পাপকর্ম ও ভক্তিকর্ম। 

👉যে কর্ম করলে পরিণামে জাগতিক সুখ- স্বাচ্ছন্দ্য লাভ হয়, কিংবা মৃত্যুর পর স্বর্গগতি লাভ হয়, সেই শাস্ত্র-বিহিত কর্ম হচ্ছে পুণ্য কর্ম। পুণ্যকর্মের ফলে স্বর্গ-সুখ ভোগ হয়, সুখ-ভোগ শেষ হয়ে গেলে আবার এই মর্ত্যলোকে জন্মাতে হয়। "ক্ষীণে পুণ্য মর্ত্যলোকং বিশন্তি॥ 

👉যে কর্ম করলে পরিনামে কষ্টই ভোগ করতে হয়, কিংবা মৃত্যুর পর নরকগতি হয়, সেই শাস্ত্র-নিষিদ্ধ কর্ম হচ্ছে পাপ কর্ম। পাপকর্ম ফলে নরক-যাতনা ভোগ হয়,, যাতনা ভোগ করতে করতে পাপরাশি শেষ হয়ে গেলে আবার এই মর্ত্যলোকে জন্মাতে হয়। 

👉যে কর্ম করলে পাপ- পুণ্য এই দুয়ের ঊর্ধ্বে বৈকুন্ঠগতি লাভ হয়, সেই শাস্ত্র-নির্ধারিত ভগবৎ সেবামুলক কর্ম হচ্ছে ভক্তি কর্ম। ভক্তিকর্ম ফলে বৈকুন্ঠ-জীবন প্রাপ্তি হয়। ভয়ংকর বৈষ্ণব-অপরাধ না করলে ভক্তি নষ্ট হয় না।

ধর্ম বড় না কর্ম বড় ব্যাখ্যাঃ

 বরঞ্চ বৈকুন্ঠ-গতি হওয়ার ফলে তাকে জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধিপূর্ণ মায়ার জগতে ফিরে আসতে হয় না। যদি কেউ জরা-ব্যাধিপূর্ণ মায়ায় জগতে জন্ম-মৃত্যুর দুঃখময় চক্রে ঘুরপাক খেতে না চান তবে তিনি ভগবৎ ভক্তি-সেবামূলক কর্ম করবেন। ধর্ম হচ্ছে ভগবানের দেওয়া নিয়ম-কানুন। ধর্মস্তু সাক্ষাৎ ভগবৎ প্রনীতম্।" ধর্ম হচ্ছে ভগবানের দেওয়া নিময়-কানুন। 

ধর্ম বড় না কর্ম
সেই নিয়ম-কানুনটি কি-যে যেখানে যেরূপ অবস্থায় থাকি না কেন? জীবনে সম্পূর্ণ হরিভজনে যুক্ত থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার যাবতীয় কর্ম- চাষবাস করা, চাকুরী করা, ব্যবসা করা, ঝাড়ু দেওয়া, রান্না করা, ঘর সংসার করা, সন্ন্যাস নেওয়া, কথা বলা, সিনেমা দেখা, বাজার করা, বই পড়া, গান শোনা, খাওয়া-দাওয়া, ঘর সাজানো, জল আনা-- সবই ভগবৎ সেবাকর্মের অনুকূলে, ভগবানকে কেন্দ্র করেই গড়ে তুলতে হবে।
 ভগবদ্ প্রীতির উদ্দেশ্যে এইভাবে জীবন যাপন করাটাই মনুষ্য-জন্মের একমাত্র কর্ম ও একমাত্র পরম ধর্ম। আর সেটিই একমাত্র শাশ্বত পরম গতি লাভের কারণ। যদি আপনারাও শিখতে পারেন তাহলে সনাতনী বন্ধুদের এডড করুন হরে_কৃষ্ণ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url