আয়ান ঘোষের পরিচয়

আয়ান ঘোষের পরিচয়

বিভিন্ন ধর্মীয় বই এবং উপকথায় জানা যায় যে,অভিমন্যু আয়ানের আসল নাম।জারত নামে একটি গ্রামে যেটি গোকুলের কাছে অবস্থিত সেখানে তিনি বসবাস করেছিলেন।আয়ানের পিতার নাম ছিল গোলা, ও মায়ের নাম ছিল জটিলা এবং তার একটি বোন ছিল, যার নাম কুটিলা।

সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের পালিত মাতা যশোদার তুতো ভাই ছিলেন আয়ান ঘোষ।কৃষ্ণের পালক পিতা নন্দ ছিলেন আয়ানের সাথে রাধার বিয়ের মূল উদ্যোক্তা।মূলত আয়াত ছিলেন মা কালির ভক্ত তাই তিনি বেশিরভাগ সময়ই কালী পুজো-অর্চনায় ব্যাস্ত ছিলেন।তাই সংসার জীবনে তার বেশি আগ্রহ ছিল না। বেশিরভাগ লোককথা অনুযায়ী আয়ান নপুংসক ছিলেন।

আয়ান ঘোষের পরিচয়
আয়ান ও রাধা

রাধা কেন আয়ান ঘোষ কে বিয়ে করেছিলেন?

আমরা রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনি কম বেশি সকলেরই জানি। স্বামী থাকা সত্ত্বেও রাধারানী কৃষ্ণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আর সেই প্রেমকথা চিরকালীন অমরত্ব লাভ করে। যেখানে অন্যপুরুষে প্রেমের সম্পর্ককে আমাদের সমাজ বিবাহীতা নারীর মান্যতা দেয় না, সেখানেকী করে অমর প্রেমকাহিনি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেল এই সম্পর্ক?

অনেকেই এই রাধারানী ও শ্রীকৃষ্ণের নিস্কাম প্রেম কে ব্যঙ্গ করে বলেন__ "থাকতে গৃহে আপন স্বামী ভাগ্নে প্রেমে মজলো মামী"পুরাণ-কথা অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ আসলে নারায়নের অষ্টম অবতার এবং রাধারানী লক্ষ্মীর রূপ। রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ভক্ত ও ভগবানের এক অসাধারণ ভাব যুক্ত প্রেমেরই প্রতিচ্ছবি।রাধা-রূপী লক্ষ্মী যদি কৃষ্ণের সঙ্গীনি হতেই মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তবে কেন কৃষ্ণকে ছেড়ে আয়ানকে বিয়ে করেছিলেন তিনি? আয়ানের পূর্ন পরিচিতি :-- উপকথায় পাওয়া যায় আয়ানের আসল নাম অভিমন্যু। গোকুলের কাছে জারত নামে একটি গ্রামে তার বাস। পেশায় তিনি ছিলেন দুধের ব্যবসায়ী। তার বাবার নাম গোলা, মা জটিলা এবং বোন কুটিলা। সম্পর্কে কৃষ্ণের পালিকা মা যশোদার তুতো ভাই ছিলেন আয়ান। তার সঙ্গে রাধার বিয়ের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন কৃষ্ণের পালক পিতা নন্দ মহারাজ। কালী-ভক্ত আয়ান পুজো-অর্চনা নিয়েই থাকতেন। অন্য কোনও বিষয়ে তার বিশেষ আগ্রহ ছিল না। আয়ান নপুংসক ছিলেন।

কৃষ্ণের চিরকালীন সঙ্গী লক্ষ্মীর অবতার রাধা,কেন বিয়ে করেন আয়ানকে?

পূর্বজন্মে আয়ান একজন তপস্রী ছিলেন। কঠোর তপস্যা করেন বিষ্ণুর দর্শণের জন্য। বিষ্ণু তার তপস্যায় মুগ্ধ হয়ে তাকে দর্শণ দেন। দর্শণ পেয়ে তিনি খুবই খুশি হন। ভগবান তাকে বর দিতে চাইলে তিনি বলেন "আমি আপনার প্রিয়া কে স্ত্রী হিসেবে পেতে চাই"। ভগবান বলেন তুমি অন্য যে কোনো বর চাও আমি দেবো। তিনি বলেন আমি অন্য বর চাইনা। বিষ্ণু অন্তর্হীত হলেন। এরপর তিনি আরও কঠোর তপস্যা করলেন। নিজের চারপাশে আগুন জ্বেলে আরও কঠিন সাধনা করেন। ভক্তের ডাকে ভগবান কে আসতেই হল, আবারও দর্শণ দিলেন তাকে, এবং বর প্রার্থনা করতে বললেন।

সে একই বর প্রার্থনা করলেন। তখন বাধ্য হয়ে নারায়ণ তথাস্তু বললেন, এবং তাকে এও বললেন যে পরের জন্মে তিনি রাধা-রূপী লক্ষ্মীকে স্ত্রী হিসেবে পাবেন, কিন্তু সেই জন্মে আয়ান নপুংসক হবেন। তিনি লক্ষী কে ঘরে বাঁধতে পারবেন কিন্তু কোনো দিন মন পাবেন না। তার মন জুড়ে কেবলই বিষ্ণু অবতার শ্রীকৃষ্ণ থাকবেন। রাধা আয়ানকে বিয়ে করলেও তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক ছিল না।

#তবে এক্ষেত্রে আরেকটি কথা বলা আবশ্যক আয়ান ঘোষ নিজের কামনা বাসনা মেটানোর জন্য রাধারানী কে পেতে চাননি। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন বৈষ্ণব। রাধারানী কে নিজের ঘরে পূজো করতেই তার এহেন ইচ্ছা।#

Next Post Previous Post
2 Comments
  • piya sen
    piya sen March 29, 2022 at 12:36 PM

    সুন্দর উপস্থাপন করা হয়েছে। tnx

  • নামহীন
    নামহীন September 4, 2022 at 9:54 PM

    দারুণ তথ্য

Add Comment
comment url