তুলসী মহারানীর পরিচয় ও তুলসীর মন্ত্র সমূহ
বৃক্ষ্মবৈবর্তপুরাণ হতে তুলসী মহারাণীর পরিচয়ঃ-
# বৃক্ষ্মবৈবর্তপুরাণঃ
★তুলসীদেবী কৃষ্ণ প্রিয়া রাধিকার সহচরী ছিলেন। একদিন গোলকে (স্বর্গে) তুলসীকে কৃষ্ণের সঙ্গে ক্রীড়ারত দেখে রাধিকা একে অভিশাপ দেন যে তুমি মানবীরূপে জন্মগ্রহণ করবে। এতে কৃষ্ণ দু:খিত হয়ে তুলসীকে সান্তনা দিয়ে বলেন, মানবীরূপে জন্মগ্রহণ করলেও তপস্যা দ্বারা অামার একঅংশ প্রাপ্ত হবে। রাধিকার শাপে তুলসী পৃথিবীতে রাজা ধর্ম ধর্ব্বজের ও মাধবী র গর্ভে জন্মগ্রহণ করে তুলসী নামে অভিহিত হন। অত:পর তুলসী বনগমণ করে ব্রক্ষ্মার কঠোর তপস্যায় আত্মনিয়োগ করেন,তার কঠোর তপস্যায় ব্রক্ষ্মা স্হির থাকতে না পেরে তাকে বর দিতে সম্মত।
তুলসী বলেন তিনি নারায়ণকে স্বামীরূপে কামনা করেন। ব্রক্ষ্মা বলেন এখন তুমি কৃষ্ণের অংশ সুদামের স্ত্রী হও। পরে কৃষ্ণকে লাভ করবে। রাধিকার শাপে সুদাম দানবরূপে জন্মগ্রহণ করবে, তার নাম হবে শঙ্খচূড়। নারায়ণেরর শাপে তুলসী বৃক্ষরূপে জন্মগ্রহণ করবে। তুমি না জন্মগ্রহণ করলে তার সকল পূজা ব্যর্থ হবে। যথা সময়ে শঙ্খচূড়ের সঙ্গে রাজা ধর্ম ধর্ব্বজের কন্যা তুলসীর বিবাহ হয়। শঙ্খচূড়ের বর ছিল যে,তার স্ত্রীর সতীত্ব নষ্ট হলেই তার মৃত্যু হবে। শঙ্খচূড়ের উৎপাত ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে ব্রহ্মার সহিতশিবের নিকট গিয়ে উপস্হিত হন। শিব তখন সকলের সঙ্গে নারায়ণের সমীপস্হ হন। দেবতাদের দুর্দশা দর্শনে নারায়ণ বললেন যে, শূল দ্বারা শিব যু্দ্ধে রত হলে পর, আমি এর স্ত্রীর সতীত্ব নষ্ট করব। শিব শঙ্খচূড়ের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং নারায়ণ শঙ্খচূড়ের রূপ ধারন করে তার স্ত্রীর সতীত্ব নাশ করেন। তখন শিবের হাতে শঙ্খচূড় নিহত হয়। তার অস্হি লবন সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলে এই অস্হি হতে দেব পূজার জন্য নানা প্রকার শঙ্খের উৎপত্তি হয়। নারায়ণ শঙ্খচূড়ের রূপ গ্রহণপূর্বক তার সতীত্ব নষ্ট করেছেন জ্ঞাত হয়ে তুলসী নারায়ণকে অভিশাপ দেন যে, তুমি পাষানে পরিনত হও। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তুলসী নারায়ণের চরনে পতিত হন। তুলসীকে সান্ত্বনা দিয়ে নারায়ণ বললেন যে,তোমার দেহ থেকে গন্ডকী নদী উৎপন্ন হবে। আর তোমার কেশ থেকে উৎপন্ন হবে তুলসীবৃক্ষ। তুমি লক্ষ্মীর ন্যায় আমার প্রিয়া হবে।
তুলসী নারায়ণকে গৃহে স্হান দিতে বললে নারায়ন বলেন, আমার গৃহে লক্ষ্মী রয়েছে, তোমার গৃহে নয় গৃহাঙ্গনে হবে। সেই থেকে নারায়ণ শিলারূপে অবস্হিত হয়ে সর্বদা তুলসীযুক্ত হয়ে থাকেন।]★
# তুলসী_প্রণাম_মন্ত্র :
(ওঁ) বৃন্দায়ৈ তুলসী দেব্যৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ ৷
কৃষ্ণ ভক্তিপ্রদে দেবী সত্যবত্যৈ নমো নমঃ ৷৷
“ভগবান শ্রীকেশবের অতি প্রিয় বৃন্দা, শ্রীমতি তুলসীদেবীর উদ্দেশ্যে আমার পুনঃ পুন প্রণতি নিবেদন করি ৷ হে দেবী সত্যবতী, শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে আপনি আমাদের ভক্তি প্রদান করুন ৷ ”
তুলসী দেবীর ছবি |
# তুলসী_প্রদক্ষিণ_মন্ত্র :
যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মহত্যাদিকানি চ ৷তানি তানি প্রণশ্যান্তি প্রদক্ষিণ পদে পদে ৷ ৷
অর্থাৎ, যখন মানুষ শ্রীমতী তুলসীদেবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে ,তখন প্রতি পদক্ষেপে তার কৃত সকল পাপকর্ম ,এমন কি ব্র্হ্মহত্যার পাপও পদে পদে বিনষ্ট হয়ে যায় ।
# তুলসী_স্নান_মন্ত্র :
(ওঁ) গৌবিন্দবল্লভাং দেবীং ভক্তাচৈতন্যকারিরীম ৷
স্নাপয়ামি জগদ্বাত্রীং বিষ্ণুভক্তি প্রদায়িনীম ৷৷
# তুলসী_চয়ন_মন্ত্র :
(ওঁ) তুলসী মৃতজন্মাসি সদা ত্বং কেশবপ্রিয়া ৷
কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভব শোভনে ৷৷
# তুলসীদেবীর_কাছে
_ক্ষমা_প্রর্থনা_মন্ত্র :
""চয়নোদ্ভবদুঃখং চ যদ্ হৃদি তব বর্ততে।
তত্ ক্ষমস্ব জগন্মাতঃ বৃন্দাদেবী নমোহস্ততে॥""
# তুলসী_চয়ন :
প্রাতঃকালে স্নানের পর শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান পূর্বক পুষ্প চয়ন ও তুলসী চয়নের নিয়ম ৷ মধ্যাহ্ন স্নানের পর পুষ্প ও তুলসী চয়ন নিষিদ্ধ ৷ ভগবানকে প্রণাম করে এবং তার আদেশ লয়ে তুলসী ও পুষ্প চয়ন করতে হয় ৷ অছিদ্র হরিৎ পত্র তুলসীই শ্রীকৃষ্ণার্চ্চনের যোগ্য ৷ তিনবার করতালি দিয়ে তুলসীর শাখা কম্পন না হয় ৷ এমনভাবে বামহস্ত দ্বারা শাখা ধরে ডানহস্ত দ্বারা মঞ্জুরীবন্ত সহ তুলসী পত্র চয়ন করতে হয় ৷ তুলসীর পত্র চয়ন কালে যদি শাখা ভাঙ্গীয়া যায়, তবে শ্রীবিষ্ণুর হৃদয়ে ব্যথা প্রদান করা হয় ৷
কিছু নিয়ম :
১৷ প্রতিদিন তুলসী বৃক্ষে জল সেচন করতে হয় এবং গ্রীষ্ম কালে ছায়ার মধ্যে রাখতে হয় ৷
২৷ তুলসী বৃক্ষের নীচে প্রতিদিন প্রদীপ প্রজ্জলন করতে হয় ৷
৩৷ তুলসী বৃক্ষকে সর্বদা জীবজন্তুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিৎ ৷ পথের পাশে তুলসী বৃক্ষ রাখতে নেই, কেননা লোকজন অজান্তেই তার ক্ষতি সাধন করতে পারে ৷
৪৷ কেবল মাত্র বিষ্ণুতত্ত্ব-বিগ্রহ এবং আলেখ্য সমূহের চরণ কমলে ভক্তিসহ তুলসীপত্র নিবেদন করতে হয় অন্য কাউকে নয় ৷ অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ প্রভু, অদ্বৈত প্রভু প্রভৃতির পাদপদ্মেই কেবল তুলসীপত্র অর্পণ করা যায় ৷ শ্রীবাস পন্ডিত, গদাধর পন্ডিত, এমন কি রাধারানীর পাদপদ্মেও তুলসীপত্র নিবেদন করা যায় না ৷ গুরুদেবের চরণেও নিবেদন করা যায় না ৷
নিষেধ (বিস্তারিত)
সকালে সূর্যোদয়ের আগে কিংবা সন্ধায় সূর্যাস্তের পরে, এবং দ্বাদশী তিথিতে কখন ও তুলসীপত্র চয়ন করতে নেই। আগের কিংবা সকালে তোলা তুলসীপত্র শুখিয়ে গেলেও, তা শ্রীবিগ্রহ অর্চ্চনায় ব্যবহার করা চলে।সকল ভক্তের উচিত্ কয়েকটি তুলসী গাছ রাখা। তবে খুব সতর্কতার সাথে এগুলোর যত্ন করতে হবে। কারণ তুলসী কৃষ্ণ প্রেয়সী। তুলসী গাছ গুলো এমন যায়গায় রাখতে হবে যাতে মানুষ অথবা পশু তাঁর উপর দিয়ে হেঁটে যেতে না পারে, তাঁকে দুমরে মুচরে দিতে না পারে। মঞ্জরী গুলো কচি সময় হাত দিয়ে (নখ দিয়ে নয়) ভেঙ্গে দিলে গাছ্টি অত্যন্ত সুস্থ ও সবল ভাবে বেরে উঠবে। মঞ্জরী ভেঙে পরে সেটাও পত্রের সাথে নিবেদন করবেন।
কারণ, ১ টি মঞ্জরী= ১০০০ পাতা। তাই মঞ্জুরী ফেলে দিলে পাপ হতে পারে।
শ্রীমতী তুলসীদেবীর যাতে কোনও প্রকার ব্যথা সৃষ্টি না হয়, সেই বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হতে হয়। ডান হাত দিয়ে তাঁর পত্র চয়ণের সময়ে বামহাত দিয়ে শাখাটিকে ধরে রাখতে হয় যাতে সেটি ভেঙ্গে না যায়। তুলসী পত্র চয়ণের শেষে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়।শুধুমাত্র বিষ্ণুতত্ত্ব বিগ্রহসমূহ ও চিত্রপটসমূহের প্রতি তুলসী চরণে তুলসী চরণে নিবেদন করা যায় না। ভগবানকে ভোগ নিবেদনের সময় প্রত্যেক সামগ্রীতে একটি করে তুলসী পাতা বা মঞ্জরী দিতে হয়।
যাকে তুলশী দিতে পারবেন না|| কেনো দিতে পারবেন না || গুরুদেবকে কেন তুলসী দেওয়া যায় না।
শ্রীগোবিন্দের চরণ ব্যতীত তুলসীপত্র অর্পণ করতে নেই গুরুদেব ভগবানের মতো শ্রদ্ধেয় হলেও তিনি কখনই ভগবান নন৷ তিনি ভগবানের প্রিয় সেবকমাত্র৷ তিনি ভগবানের ভক্ত৷ আর তুলসী হচ্ছেন গোবিন্দবল্লভা৷ শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী। একমাত্র বিষ্ণুতত্ত্ব ব্যতীত কারও চরণে তুলসীপত্র অর্পণ করা কখনই উচিত নয়, কারণ তা মহা অপরাধ।
তুলস্যা বিষয়ং তত্ত্বং বিষ্ণুমেব সমর্চয়েৎ ৷
সা দেবী কৃষ্ণশক্তিহি শ্রীকৃষ্ণবল্লসা দেবী কৃষ্ণশক্তিহি শ্রীকৃষ্ণবল্লভা মতা ৷৷
অতস্তাং বৈষ্ণবীং দেবীং নান্যপদে সমর্পয়েৎ ৷
অর্পণে তত্ত্বহানিংঃ স্যাৎ সেবাপরাধ এব চ ৷৷
অতত্ত্বজ্ঞস্ত পাষণ্ডো গুরুব্রুবস্য পাদয়োঃ ৷
অর্পয়ন্ তুলসীং দেবীমর্জয়েন্নর
কং পদম্ ৷৷
“তুলসীপত্র দিয়ে শ্রীবিষ্ণু তত্ত্বের অর্চনা করা কর্তব্য। তুলসীদেবী কৃষ্ণশক্তি, শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা। তিনি পরম বৈষ্ণবী। অন্য কারও পদে তুলসীপত্রাদী অর্পণ করা উচিত নয়৷ যদি কেউ অর্পণ করে তবে সে তত্ত্বজ্ঞানহীন হয় এবং তার সেবা অপরাধ হয়৷ আর যে তত্ত্বজ্ঞানহীন পাষণ্ড গুরুদেবের চরণে তুলসী অর্পণ করে তার নরকগতিই লাভ হয়৷যে ব্যক্তি চরণে তুলসীপত্র গ্রহণ করে সে কখনই গুরু নয়৷ সে পরমগুরুরত্ত বিরােধী৷ ভগবান শ্রীহরি ছাড়া কোনও দেবদেবীকে তুলসীপত্র দিয়ে কখনই অর্চনা করা উচিত নয়।
বায়ুপুরাণে মহর্ষি ব্যাসদেব সেই কথা উল্লেখ করেছেন-------
তুলসীদল মাত্রায় যোহন্যং দেবং প্রপূজয়েৎ ৷
ব্রহ্মহা স হি গোঘ্নশ্চ স এব গুরুতল্পগঃ ৷৷
# তুলসী_পূজা_পদ্ধতিঃ (সকাল/ভোর, সন্ধ্যায় একই নিয়ম)
উপকরণঃ
আচমন পাত্র, ধুপকাঠি, প্রদীপ, পুষ্প, ঘন্টা
নিবেদন নিয়মঃ
ধুপকাঠি, প্রদীপ, পুষ্প সবগুলি উপকরণ ই ৭বার করে ঘুরিয়ে (ঘরির কাটার দিকে) দেখাবেন। প্রত্যেকটা উপকরণ দেখানোর আগে পরে আচমন করিয়ে নিবেন।
আরতির সময়ঃ
ভক্তরা দুই বেলা তুলসি আরতি দিয়ে থাকে।
সকালে(ভোরে)- মঙ্গল আরতির পর।
রাতে- গৌর আরতি বা সন্ধ্যা আরতির আগে।
শ্রী শ্রী তুলসী আরতিঃ-
নমো নমঃ তুলসী ! কৃষ্ণপ্রেয়সী ৷
রাধাকৃষ্ণ-সেবা পাব এই অভিলাসী ৷৷
যে তোমার শরণ লয়, তার বাঞ্ছা পূর্ণ হয়,
কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবন বাসী ৷
মোর এই অবিলাস, বিলাস-কুঞ্জে দিও বাস,
নয়নে হেরিব সদা যুগলরূপরাশি ৷৷
এই নিবেদন ধর, সখীর অনুগত কর,
সেবা-অধিকার দিয়ে কর নিজ দাসী ৷
দীন কৃষ্ণদাসে কয়, এই যেন মোর হয়,
শ্রীরাধাগোবিন্দ-প্রেমে সদা যেন ভাসী ৷৷
সকালে আরতির পর বাঁ হাতে পষ্ণপাত্র ধারণ করে তা থেকে ডান হাত দিয়ে শ্রীমতি তুলসীদেবীকে জল সিষ্ণন করতে হয়। জলদান মন্ত্র উচ্চারণ করে।
# তুলসী_মহারানীর_কিছু_মাহাত্ম্যঃ -
শ্রীহরিকে একটি মাত্র তুলসীপত্র দানে তাঁর যে সন্তোষ লাভ হয় হাজার কলসী অমৃত দানে শ্রীহরির সেরূপ প্রীতি লাভ করেন না।
শাস্ত্র প্রমানে পৃথিবীতে সাড়ে তিন কোটি তীর্থ আছে।তুলসী তরুমূলে সমস্ত তীর্থ বিরাজ করে।
যে মানব তুলসী পত্র রসে সিক্ত অন্ন ভোজন করেন তা অমৃত বলে কথিত হয়।
ভগবান বিষ্ণু এই তুলসীপত্র ব্যতীত কোনো ভোগবস্তুই গ্রহন করেন না।.
বিশ্বব্রম্মাণ্ডে যে দেবীর কোনো তুলনা নেই সেহেতু তিনি তুলসী।
তাঁকে যদি আমরা যথোপযুক্ত স্মরণ রাখতে পারি, তাহলে মৃত্যুর পর তিনি আমাদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণ পেতে সহায়তা করবেন।
কেশবপ্রিয়া বৃন্দাদেবী যিনি কৃষ্ণ-ভক্তি প্রদান করেন, সেই সত্যবতী তুলসী দেবীকে আমি বারবার প্রণাম নিবেদন করি।
যে মানব প্রতিদিন তুলসী প্রনাম,স্পর্স, দর্শণ, জল দান ও প্রদক্ষিণ সহ এই পাঁচ প্রকার তুলসী সেবা করে তাহলে তার কৃষ্ণপ্রেম ও শ্রীবৃন্দাবন বাস হয়।
তুলসী' এমন একটা পবিত্র শব্দ, যার নাম উচ্চারণ করলেই জীব পরম শান্তি পায়।
তুলসি মালা কেন ধারণ করবেন, তার শাস্ত্র প্রমাণ...!!!
বহ্মবৈবর্ত পুরাণঃ
তুলসীকাষ্ঠনির্মাণমালাং গৃহ্নতি যো নরঃ।
পদে পদেহশ্বমেধস্য লভতে নিশ্চিতং ফলম।।
(ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখণ্ড ২১/৪৭)
অর্থাৎঃ- "যে নর তুলসীকাষ্ঠ নির্মিত মালা ধারণ করবেন, নিশ্চয়ই তার পদে পদে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল হবে।"
স্কন্দ পুরাণ: "ভগবান বললেন, যে মানব তুলসীকাষ্ঠ সম্ভূত মাল্য ধারণ করেন, আমি প্রত্যহ তাকে দ্বারকাবাসের ফল প্রদান করি। যে নর ভক্তিসহকারে আমার উদ্দেশ্যে তুলসীকাষ্ঠ-সম্ভূত মাল্য প্রদান করে ভক্তিপূর্বক তা গ্রহণ করেন, তার কোন পাতক নেই, তার প্রতি আমি অত্যন্ত প্রীত এবং তিনি আমার প্রান সদৃশ। যিনি তুলসীকাষ্ঠ সম্ভূত মাল্যে ভূষিত হয়ে পিতৃ ও দেবগনের পূজা প্রভৃতি পূর্ণ কার্য করেন, কোটিগুন পূ্ণ্য হয়ে থাকে।
তুলসীকাষ্ঠমালাং তু প্রেতরাজস্য দূতকাঃ।
দৃষ্টা নশ্যতি দূরেণ বাতোদ্ধূতং যথা দলং।।১২
তুলসীকাষ্ঠমালাভির্ভূষিতো ভ্রমতে ভুবি।
দুঃস্বপ্নং দুর্নিমিত্তঞ্চ ন ভয়ং শত্রুবৎ ক্বচিৎ।।১৪
অর্থাৎঃ- "যমদূতগণ তুলসীকাষ্ঠসম্ভূ
ত মাল্য দর্শন করে বায়ুচলিত পত্রের ন্যায় দূর হতে পলায়ন করে। যিনি তুলসীকাষ্ঠ- মাল্যে ভূষিত হয়ে বসুধা বিচরণ করেন, কখনো তার দুঃস্বপ্ন, দূর্নিমিত্ত বা শত্রুজনিত ভয় থাকে না।"
ধারয়ন্তি ন যে মালাং হৈতুকাঃ পাপবুদ্ধয়ঃ।নরকান্ন নিবর্তন্তে দগ্ধাঃ কোপাগ্নিনা মম।।১৫
(স্কন্দপুরাণ, বিষ্ণুখণ্ড, মার্গশীর্ষমাসমাহাত্ম্য, ৪/৭-১৫)
অর্থাৎঃ-যে সকল হেতুবাদী পাপবুদ্ধি লোক তুলসী মালা ধারণ করে না, আমার কোপাগ্নি দ্বারা দগ্ধ হয়ে তারা কখনো নরক হতে প্রতিনিবৃত্ত হয় না। অতএব, তুলসীমাল্য ধারণ করবে।"
পদ্মপুরাণঃ তুলসী কাষ্ঠের মহিমা প্রসঙ্গে পদ্মপুরাণে (উত্তরখণ্ডে অধ্যায় ২৩) বলা হয়েছে- "তুলসী কাষ্ঠানলে যাদের দেহ দগ্ধ হয় এবং মৃতব্যক্তির সর্বাঙ্গে তুলসীকাষ্ঠ দিয়ে পশ্চাৎ যে ব্যক্তি তাকে দাহ করেন তারা সকলেই পাপ হতে মুক্ত হয়ে থাকে।"
তুলসীকাষ্ঠমালাস্তু কণ্ঠস্থং বহতে তু যঃ।
অপ্যশৌচহপ্যনাচারো ভক্ত্যা যাতি হরের্গৃহম্।।
(পদ্মপুরাণ, স্বর্গখণ্ড, ৪৭/৪৫)
অর্থাৎঃ-"যেহেতু তুলসীকাষ্ঠমালা কণ্ঠস্থ করে বহন করে, সে অশৌচ বা অনাচার হলেও হরির গৃহে (বৈকুন্ঠে) যায়।"
যঃ পুনস্তুলসীমালাং কণ্ঠে কৃত্বা জনার্দনম্।
পূজয়েৎ পুন্যমাপ্নোতি প্রতিপুষ্পং গবাযুতম্।।৪৮
ধারয়ন্তি ন যে মালং হৈতুকাঃ পাপবুদ্ধয়ঃ।
নরকান্ন নিবর্তন্তে দগ্ধা কোপাগ্নিনা হরেঃ।।৪৯
অর্থাৎঃ- "যে মানব তুলসী মালা কন্ঠে করে জনার্দনের পূজা করে, সে প্রতি পুষ্পে গবাযুতের (অযুত গোদানের) পুণ্য প্রাপ্ত হয়। যেসকল পাপবুদ্ধি ব্যক্তি নানা কারণ দর্শিয়ে তুলসীমালা ধারণ করে না, তারা হরির কোপাগ্নিতে দগ্ধ হয়ে নরক হতে প্রত্যাবৃত হতে পারে না।
নিবেদ্য কেশবে মালং তুলসীকাষ্ঠসম্ভবাম্।
বহতে যো নরো ভক্ত্যা তস্য বৈ নাস্তি পাতকম্।।৫২
তুলসীকাষ্ঠমালাস্তু প্রেতরাজস্য দূতকাঃ।
দৃষ্টা নশ্যতি দূরেণ বাতোদ্ধূতং যথা দলম্।।৫৩
অর্থাৎঃ- "যে নর তুলসীকাষ্ঠ নির্মিত মালা ভগবান কেশব কে নিবেদন করে পরিধান করে, তার পাতক নেই। প্রেতরাজের দূতগণ তুলসীকাষ্ঠসম্ভূত মাল্য দর্শন করে বায়ুচলিত শুষ্ক পত্রের ন্যায় দূরে অন্তর্হিত হয়।"
অতএব মনুষ্য মাত্রেই ভগবানকে নিবেদিত তুলসীকাষ্ঠমালা কন্ঠে পরিধান করা কর্তব্য।
# ___কণ্ঠে_তুলসী_কাষ্ঠ_নির্মিত_মালা_ধারণ_বিধি_কি
তুলসী মালা ধারণ-বিধিঃ
"সন্নিবেদ্যৈব হরয়ে তুলসী-কাষ্ঠ-সম্ভবাম্।
মালাং পশ্চাৎ স্বয়ং ধত্তে স বৈ ভাগবতােত্তমঃ।।
হরয়ে নার্পয়েদ্ যস্তু তুলসী-কাষ্ঠ-সম্ভবাম্।
মালাং ধত্তে স্বয়ং মূঢ়ঃ স যাতি নরকং ধ্রুবম্।।
ক্ষালিতাং পঞ্চগব্যেন্ মূলমন্ত্রেণ মন্ত্রিতাম্।
গায়াত্র্যা চাষ্টকৃত্বো বৈ মন্ত্রিতাং ধূপয়েচ্চ তাম্।
বিধিবৎ পরয়া ভক্ত্যা সদ্যোজাতেন পূজয়েৎ৷৷"
"যিনি তুলসী-কাষ্ঠ নির্মিত মালা শ্রীহরিকে নিবেদন করিয়া পশ্চাৎ স্বয়ং ধারণ করেন, তিনি নিশ্চিত ভাগবদ্ভক্তের প্রধান। যিনি উক্ত মালা শ্রীহরিকে নিবেদন করেন না। এবং স্বয়ং তাহা ধারণ করেন, সেই মূঢ় নিশ্চয়ই নরকগামী হয়। প্রথমে পঞ্চগব্য-দ্বারা মালাকে ধৌত করিবে, পরে মূলমন্ত্র দ্বারা উহাতে জপ করিবে এবং আটবার গায়ত্রী জপ করিবে।
"তুলসী-কাষ্ঠ-সম্ভূতে মালে কৃষ্ণজনপ্রিয়ে।
বিভৰ্ম্মি ত্বামহং কণ্ঠে কুরু মাং কৃষ্ণবল্লভম্৷৷
যথা ত্বং বল্লভা বিষ্ণোর্নিত্যং বিষ্ণুজনপ্রিয়।
তথা মাং কুরু দেবেশি নিত্যং বিষ্ণুজনপ্রিয়ম্৷৷
দানে লা-ধাতুরুদ্দিষ্টো লাসি মাং হরিবল্লভে।
ভক্তেভ্যশ্চ সমস্তেভ্যস্তেন মালা নিগদ্যসে।।"
"হে মালে! হে তুলসী-কাষ্ঠ-সম্
ভবে! হে কৃষ্ণভক্তগণের প্রিয়পাত্রি! আমি তােমাকে কণ্ঠে ধারণ করিতেছি, আমাকে কৃষ্ণের প্রিয়পাত্র কর। তুমি যেরূপ সৰ্ব্বদা শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়া এবং কৃষ্ণভক্তগণের প্রেমাস্পদা, তদ্রূপ আমাকে তাঁহাদের প্রিয়পাত্র কর। দান-অর্থে ‘লা’-ধাতু উদ্দিষ্ট হয়; অতএব হে হরিবল্লভে! তুমি আমাকে সকল ভক্তগণের নিকট দান করিলে, সেহেতু তুমি ‘মালা’ বলিয়া কথিত হইয়া থাক।"
(সূত্রঃ শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩০৯-৩১৪ )
শ্রীরূপ গোস্বামীর লিখিত ভক্তির চতুঃষষ্টি অঙ্গের মধ্যে ২১ নাম্বার হচ্ছে বৈষ্ণবচিহ্ন-ধারণঃ "সাধক কণ্ঠে ত্রিকণ্ঠিতুলসী-
মালা ও দেহে দ্বাদশ-তিলক ধারণ করিবেন ইহারই নাম বৈষ্ণব-চিহ্ন-ধারণ।"
( সূত্রঃ জৈবধর্ম, শ্রীকেদারনাথ ভক্তিবিনোদ ঠাকুর।)
তাই নিয়মিত তুলসী আরতি করুন। এবং সবসময় গলায়(কণ্ঠে) তুলসী মালা ধারণ করুন।
গলায়_তুলসী_মালা
_কেন_ধারন_করবো?
# তুলসী_মালা_পরলে__কী_লাভ ?
আজকাল অনেকে বলে আমি বা আমরা ডিজিটাল যুগের ছেলে/ মেয়ে কেনো এইসব পড়ব ।
কোন সাধু ব্যাক্তি যদি আপনাকে তুলসী মালা পড়তে বলে তাকে সম্মান তো করেন না বরং টিটকারি করেন। এরপর বলেন সময় হয়নি পড়ার, বৃদ্ধ হলে পড়ব আর কত কি।
=
আর আমাদের মায়েদের আর বোনদের গলায় তুলসীর মালা পড়তে বললে তাদের কাছ থেকে উত্তর আসে আমরা এখন মডার্ন যুগের মেয়ে,তুলসী মালা পড়লে লোকে ক্ষ্যত বলবে,এটা কি একটা পড়ার জিনিস হল নাকি। তাদের জন্য আমার উত্তর গলায় যেসব স্বর্নের অথবা বিভিন্ন ধাতুর তৈরী অলংকার পড়েন এইসব বস্তু শুধু এই জগতেই আপনাকে আকর্ষনীয় করে তুলে।কিন্তু তুলসীর মালা এমন এক অলংকার যেটা আপনাকে ইহকাল পরকাল দুই কালেই আকর্ষনীয় এবং সুন্দর রূপ দান করবে।
→
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো যখন তুলসী মালা পড়া মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটেঁ যায় সে কখনোই কোনো ইভটিজারদের শিকার হোন না। বিশ্বাস না করলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
→
সর্প ছোবল থেকে রহ্মা পাওয়া যায় ,,যেমন সাপুড়িয়া যখন সাপের খেলা দেখাই তখন তাদের হাতে একটা লাঠির ডাল থাকে সে লাঠির মাথায় তুলসীর ডাল থাকে।
→
রাতে বা দিনে ঘুমানোর পর আমরা বাজে স্বপ্ন বা ভয়ানক স্বপ্ন দেখি যা দেখে ভয় পেয়ে আমার হাত পা প্যারালাইজ হতে পারে সেটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়,, আর অনেক উপকার পাওয়া যায় ইত্যাদি।
→
যদি তুলসীর মালা গলায় দিয়ে তার মৃত্যু হয় সে যদি ভক্ত না থাকে তবুও তার নরকগামী হতে হবে না, যেমন কুকুরের গলায় যদি বেল থাকে তাকে কি কেউ মারতে পারে??না,, কারণ তার গলাই বেল আছে সে পালিত কুকুর মারলে তার নামে কেস হয়ে যাবে পৌরসভা লোকও তাকে মারতে পারবে না।
=
তাই যার গলাই তুলসীর মালা আছে তাকে যমে স্পর্শ করতে পারবে না, দূর থেকে দেখে প্রণাম করে বায়ুর বেগের মত চলে যাবে কারণ সে ভগবানের ভক্ত তার নাম ভগবানের খাতাই লিখা হয়েগেছে,, আর যদি তুলসীর মালা ধারণ করে মায়াতে পরে কৃষ্ণ কে ভুলে যাই তবুও তাকে নরকগামী হতে হবে না,, তার সৎগতি হবে পরের জন্মে ভগবান তাকে ভক্ত ঘরে জন্ম দিবে ও সুযোগ করে দিবে।
→
তুলসীর জল দিয়ে গঙ্গা জল বানায় পবিত্র হওয়ার জন্য আর যদি তুলসীর মালা গলাই থাকে যদি প্রতিদিন স্নান করি সে মালার স্নানের জল শরীরে স্পর্শে করলে এমনি পবিত্র হয়ে যাব,,অনেকে বলে তুলসীর মালা গলাই ধারণ করলে মিথ্যা কথা বলা যাবে না,,যদি তাই হয় তাহলে,ত শাস্ত্রে লিখা আছে মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ তুলসীর মালা না ধারণ করলেও মিথ্যা কথা মহাপাপ, ধারণ করলেও পাপ তাহলে কোনটা ভাল??
→
তাহলে তুলসীর মালা ধারণ করে মিথ্যা কথাই ভাল কারণ যেখানে আমি ১০০/মিথ্যা কথা বলতাম তুলসীর মহারাণী কৃপাই আসতে আসতে ১টা করে কমতে থাকবে একসময় আমি আর মিথ্যা বলব না, আর যদি মৃত্যু হয় তাহলে,ত নরকগামী,ত হতে হবে না, সৎ গতি হবে।
→
আবার কেউ বলে তুলসীর মালা ধারণ করে মাছ,মাংস,আমিষ খেলে পাপ হয়,,হা ঠিক কিন্তু ভাগবতে ভগবান বলেছেন যে আমার চেয়ে আমার নাম বড় নামের চেয়ে আমার ভক্ত বড় ভক্তের চেয়ে ভক্তের চরণ ধূলি বড়,ভগবান তার ভক্তকে সবসময় উপরে রেখেছে, সেই শুদ্ধ ভক্ত ভগবানের যিনি ভগবানের নাম ও প্রচার করে তার হাতে তুলসীর মালা গলাই ধারণ করলে আপনার পাপ সেই শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে ভগবান গ্রহণ করে এটা প্রচারের জন্য ভক্ত সবরকম পাপ বহণ করে জীবকে উদ্ধার করার জন্য ।
→
সব কথার মূল কথা হল যে ভগবানকে যত কিছু রান্না করে দেন না কেন ভগবান একটা তুলসীর পত্র ছাড়া কিছু নিবেদন করে না, আর যার কন্ঠে তুলসীর মালা নাই তার হাতে ভগবান গ্রহণ করবে??
→
আবার অনেকে বলতে পারেন ভক্তি থাকলে ভগবান সব গ্রহণ করে, হা কিন্তু আপনি বলতেন পারেন আমরা ভক্তি আছেযে সবসময় কৃষ্ণ নামে মগ্ন থাকি,? আপনি যে বৈদিক কর্ম করেন না কেন তুলসী লাগবে এবং কি মৃত্যুর পরে দেহের চোখের উপর এই তুলসীর পাতা দেই,, কেন গাছে, ত অনেক পাতা আছে বট পাতা কাঠাল পাতা চোখ ভরে যাবে এমন পাতা আছে কিন্তু সেটা দিবে না কেন??
→
এই তুলসীর পাতা লাগবে চিন্তা করে দেখুন যে ব্যক্তি কখনো গলাই তুলসীর মালা ধারণ করে নাই, সাধুরা গিয়ে তাকে তুলসীর মালা পরার কথা বলে সে সাধুদের কে এমন জ্ঞান দেই যে সাধুদের সাথে খারাপ আচরন করতে থাকে টিটকারি মারতে থাকে তাদের বয়স হয় নাই মালা পরার, তাহলে চিন্তা করুন যারা বলে এখন আমরা বয়স হয় নাই হরি ভজন করার, তারা কত বড় মহাপুরুষ তারা মৃত্যুকে জানে যে আমার এখন মৃত্যু হবে না।
=
মূর্খ তারা হরিভজন করতে বয়স লাগে না, কিন্তু মৃত্যুর সময় চোখে তুলসীর পাতা দিয়া কোন লাভ হবে আত্মা তো চলে গেছে মৃত দেহের মধ্যে দিয়ে কি লাভ বেচেঁ থাকতে সাধুরা বলেছে মালা ধারন করতে পারি নাই কারণ আমি বড় পণ্ডিত ছিলাম তাই কিন্তু মৃত্যুর পর আমার পণ্ডিত গিরি শেষ তাই মৃত্যুর সময় কোন লাভ হবে না,যদি সারাজীবন হরিভজনে যুক্ত না হন।
হরে কৃষ্ণ।
হরে কৃষ্ণ
লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
---------------------------------------------
--------------------------------
পোস্টটি ভাল লাগে অবশ্যই সকলকে শেয়ার করবেন।
প্রনিপাত
সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....
ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ...(১০৮ বার)
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হন ...
দয়া করে পোস্টটির নিজস্ব মতামত জানান, এবং আপনার নিকটতম এবং প্রিয় ব্যক্তিদের সাথে লাইক ও শেয়ার করুন যাতে তারা ও কৃষ্ণভাবনাময় হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়...