সন্তানকে কৃষ্ণভক্ত করবেন কেন ?
কলিযুগের দুঃখপূৰ্ণ জগতে কেউ কৃষ্ণসেবা করার চিন্তা না করে নিজের কথা ও সন্তানের কথা চিন্তা করেন এটাই স্বাভাবিক। আরও অনেক ভাবনা করেন।যেমন,
▪️আমার সন্তানটি ভাল চাকুরী ও ব্যবসা করে উন্নতি করবে কি না?
▪️সে একটি ভাল পরিবারে বিবাহ করতে পারবে কি না?
▪️আমি বৃদ্ব হলে সন্তানটি আমার ভরন পোষন করবে কি না?
▪️আমার শ্রাদ্বাদি ক্ৰিয়া আমার পুত্ৰ সম্পাদন করবে কি না?
▪️পুত্রের সেই অধিকার থাকা উচিত কি না?
▪️পুত্ৰ আমার সর্বনাশ করবে কি না?
▪️আমি নিস্কৃতি পাব কি করে ?
এই সমস্ত অভক্তিময় মায়াচিন্তা যা শুভ নয় । কিন্তু একটিবার কেউ কি চিন্তা করেন যে, আমার এই সন্তানটি ভগদ্বামেযেতে তার কি কি করা উচিত বা সেই বিষয়ে আমি তাকে কতটুকু সাহায্য সহযোগিতা করছি।
তাকে কৃষ্ণজ্ঞান দেওয়া উচিত কিনা?
আমরা দেখি যে, কোন পরিবারের মধ্যে একজন যদি ভক্ত হয় , তবে পরিবারের অন্যান্যরা কিংবা ঐ স্থানের লোকেরা স্বাভাবিকভাবে ভক্তি অনুশীলনের অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকে ।
সন্তানকে কৃষ্ণজ্ঞান দান |
আবার এর বিপরীতও লক্ষ করা যায় যে, একজন ভক্ত হলেই পরিবারেরঅন্য সবাই ভক্ত হয়ে যাবে এরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই । কেননা একই পরিবারভুক্ত হলেও প্রত্যেকের চেতনা , সঙ্গ প্রভাব , শিক্ষা মনোভাব একই রকমের হয় না । কখনও কখনও একমুখী মানসিকতা যেমন হতে পারে , আবার বিপরীতমুখী মানসিকতাও হতে পারে। যেমন,
▪️অসুর বংশে পুত্ৰ প্ৰহ্লাদ ছিলেন মহান ভক্ত । কিন্তু তার পিতা হিরণ্যকশিপু প্ৰচণ্ড ভক্তিবিরোধী ।
▪️যখন কোনও পরিবারের কোন কোন সদস্য মনস্থ করেন যে , আমরা কৃষ্ণভক্তি অনুশীলন করে শুদ্ধ জীবনযাপন করব , তাতে আমাদের ঐহিক এবং পারমাৰ্থিক নিত্য কল্যাণ সাধিত হবে ।কিন্তু পরিবারের অন্যান্যরা ,যখন পাড়া প্ৰতিবেশীরাও দেখে যে ,সে কোনও নেশাভাঙ করছে না ,জুয়া তাস লুডু খেলছে না , কেউ ভক্ত হয়ে যাচ্ছে , রক্ত মাংস আমিষ খাচ্ছে না , গল্প গুজবে মন দিচ্ছে না , সিনেমা দেখছে না , তখন তারা অনৰ্থক উন্মাদের মতো তাকে উপহাস করতে থাকে ।যখন তারা দেখে যে , কেউ মালায় হরিনাম করে গলায় তুলসী মালা পরে , কপালে তিলক আঁকে , গীতা ভাগবত পাঠ করে , তখন তারা অতীতের কোনও ছোট খাটো তুচ্ছ ভুল ক্ৰটি নিয়ে এমনকি জন্ম জাতি পেশা ইত্যাদির নাম উল্লেখ করে ভক্তের নিন্দা মন্দ করতে থাকে ।আর বর্তমানে যদি সে কোনও কর্মে কিছু একটু ভুল করেই ফেলে তাহলে তো উপহাসের কোনও অভাব থাকে না। সবাই বলে বেড়ায় দেখ, ''এইভক্ত এই করেছে, ওটা করেছে , ছিঃ ছিঃ ।
▪️অতএব একজন ভক্ত হলে অন্যান্যরা যে ভক্তি অনুশীলনে অনুপ্ৰাণিত হবে , তা ঠিক নয় । তবুও ভক্ত সবকিছু সহ্য করে অন্যদের ভক্তিপস্থায় আনার চেষ্টা করেন ।কারণ ভক্ত বোঝেন জড় জাগতিক লোকেরা যতই উন্নত ধনী হোক না কেন , তার জীবন বৃথা । জড় জগৎ অনিত্য , জীবন ক্ষণিক , জাগতিক বৈভবও ক্ষণস্থায়ী কিন্তু কৃষ্ণভক্তি নিত্য শাশ্বত ।
▪️শ্ৰীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,''মামুপেত্য পুনজৰ্ম্ম দুঃখালয়মশাশ্বতম,নাস্তি মহাত্মানঃ সংসিদ্ধিং পরমাং গতাঃ''।।অর্থাৎ “ মহাত্মা বা ভক্তরা আমাকে লাভ করবেন । আর এই দুঃখপূৰ্ণ অনিত্য জন্মগ্রহণ করবেন না । কেননা আমার কাছে আসাই হচ্ছে তাদের পরম সিদ্ধি''।গীতা ৮/১৫
▪️তাই আপনার প্রিয় সন্তানকে সুশিক্ষিত করার পাশাপাশি তাকে কৃষ্ণজ্ঞান দান করুন। এই কৃষ্ণভক্তি লাভ করলে আপনার ও সন্তান উভয়েই লাভবান হবেন।(সবাই like, share ও comment করুন)।।গীতা ও ভাগবতের জ্ঞান লাভ করুন ।।জয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।।🙏
#tag;কি করলে প্রতিটি শিশু কৃষ্ণভক্ত হবে,কৃষ্ণভক্ত সন্তান কিকরে বানাবেন,কৃষ্ণভক্ত সন্তান লভের উপায় কি,সন্তানকে কৃষ্ণজ্ঞান দান, ছেলে মেয়েকে কৃষ্ণজ্ঞান দান করবেন যেভাবে,সন্তানকে কৃষ্ণভক্ত,সন্তানকে কৃষ্ণজ্ঞান দান