কিশোর অপরাধ : দায় ও প্রতিকার

কিশোর অপরাধ কি? 

কিশোর অপরাধ একটি সামাজিক ব্যাধি।কিশোর অপরাধ নান রখমের হয়ে থাকে।এক কথায় বলা যায় যখন নির্ধারিত বয়সের নিচের কিশোর কিশোরী  সমাজে বিদ্যমান মুল্যবোধ নিয়মনীতি বিরোধী কাজ করে তখন তাকে কিশোর অপরাধ বলে।কিশোর অপরাধ, যা "কিশোর অপরাধী" নামেও পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন কিশোর অপরাধী হল একজন কিশোর বা কিশোরী  যার বয়স সাধারণত ১৮ বছরের নিচে (জর্জিয়া, মিশিগান, মিসৌরি, উত্তর ক্যারোলিনা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, টেক্সাস এবং উইসকনসিন রাজ্যে ১৭ বছর),বাংলাদেশে ৭ থেকে ১৬ বয়সী। নিদিষ্ট বয়সের নিচে হলো কিশোর অপরাধ  অন্যথায় তারা একজন প্রাপ্তবয়স্ক হলে অপরাধ হিসেবে অভিযুক্ত হতো। কিশোর অপরাধগুলি যে ধরনের অপরাধ, যেমন অপ্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান/মদ্যপান,সম্পত্তি অপরাধ এবং সহিংস অপরাধ/কিশোর গ্যাং প্রভৃতি পর্যন্ত হতে পারে।কিছু ক্ষেত্রে  দেখা যায়  যে, এটি তরুণদের নিদিষ্ট কিছু আচরণের পরিবর্তনের পরিবর্তে আরও আক্রমণাত্মক অপরাধমূলক  এবং জ্ঞান  শূন্য-অসহনশীলতার নীতি প্রতিফলিত করতে পারে। অনেক অপরাধমূলক কাজ পারিবারিক আচরণ বা সহকর্মীদের প্রভাবের মতো পরিবেশগত কারণগুলির জন্য দায়ী করা যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলার পরিবর্তে নাবালকদের জন্য অপরাধগুলিকে দেওয়ানি হিসাবে মোকাবেলা করার জন্য কিশোর আদালত রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই আদালতগুলির ব্যবহারের ফ্রিকোয়েন্সি এবং গঠন রাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত হয়। সংঘটিত অপরাধের ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে, ১৮ বছরের কম বয়সী লোকেদের জন্য অভিযুক্ত করা এবং মামলা পরিচালনা করা হয়।

কিশোর অপরাধ থেকে কিশোরদের মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে করনীয়ঃ

মা-বাবা,পরিবারের ভূমিকাঃ

১. সন্তানদের সাথে বন্ধুসূলভ আচরণ করতে হবে।

২. সন্তান যেন অসৎসঙ্গে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। 

৩.সন্তানদের স্বার্থে মা-বাবার উচিৎ নিজেদের মধ্যে সকল বিবাদ দূর করে সংসারে আনন্দময় ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা।

৪. সন্তানের ইচ্ছা ও মতামতগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।


বিদ্যালয় ও সমাজের ভূমিকাঃ

১.কিশোর কিশোরীদের জীবন দক্ষতা শিখানো,সহমর্মী হওয়ার শিক্ষা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়গুলো ক্লাসে শিখানো প্রয়োজন। 

২. সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যাবলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণ করা প্রয়োজন। 

৩. কিশোর-কিশোরীদের দোষ-ত্রুটির জন্য শাস্তি না দিয়ে বরং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। 

৪. শিশু/কিশোরদের প্রতি সমাজের প্রতিটি মানুষের ইতিবাচক আচরণ করা উচিত। 

৫. কিশোর কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য এলাকায় খেলাধুলার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিনোদনমূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা।

কিশোর অপরাধ ছবি
কিশোর অপরাধ 


কিশোর-কিশোরীদের করনীয়ঃ

১. বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। 

২. পরিবারের সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। 

৩. ভালো ও নৈতিকতা সম্পন্ন কাজে নিয়োজিত থাকা প্রয়োজন।

৪. ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারনা থাকা প্রয়োজন ও মেনে চলা প্রয়োজন। 

৫. কোন কাজ করা আগে চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করা প্রয়োজন।

৬. সহমর্মী হওয়া প্রয়োজন। 

৭. অপরকে অপরাধ থেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।


আইন হচ্ছে রাষ্ট্র কতৃক স্বীকৃত কিছু বিধিবিধান, নিয়মকানুন যা জনগণের কল্যানে ব্যবহার করা হয়। পিতা-মাতা যেমন সর্বদা সন্তানের মঙ্গল চায় রাষ্ট্রও তেমন সর্বদাই জনগনের কল্যানের জন্য আইন প্রনয়ন করেন। তাই আমাদের সকলের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সকল অপরাধমূলক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।। 

সকলের সহযোগিতায় আমাদের সমাজ হোক কিশোর আপরাধমুক্ত এটাই প্রত্যাশা করি। 

এই ওয়েব সাইটে আরও জানতে পারবেন --

কিশোর অপরাধ,কিশোর অপরাধ প্রতিকার,কিশোর অপরাধ বয়সসীমা,কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ,কিশোর গ্যাংশীপ অপরাধ,কিশোর গ্যাং শিপ অপরাধ,কেন বাড়ছে কিশোর অপরাধী,কিশোর অপরাধ : দায় ও প্রতিকার,কিশোর অপরাধের কারণ সমূহ,কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রতিকার,কিশোর অপরাধ দমনে পরিবারের ভূমিকা,কিশোর অপরাধের কারণ ও প্রতিকার
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url