কখন সূর্যের পূর্ণগ্রহণ হয় এ গ্রহণ কত প্রকার কি কি

সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময় সূর্যকে পুরো ঢেকে দেয় চাঁদ। তখন ওই অন্ধকার বলয়ের চারপাশে দেখা যায় শুধু সাদা আলোর ছটা গ্রহণ একটি বর্ণিল আর আকর্ষণীয় মহাজাগতিক ঘটনা। সে কারণেই গ্রহণকে ঘিরে রয়েছে মানুষের গভীর আগ্রহ আর গ্রহণকে ঘিরে গড়ে উঠেছে নানাধরনের পর্যটন আকর্ষণ।আগামী গ্রহণটি হবে আজ শনিবার ৪ঠা ডিসেম্বর। আজ সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ - যা দেখার জন্য উদগ্রীব থাকেন বহু মানুষ।কিন্তু ডিসেম্বর ২০২১ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পুরোপুরি দেখা গিয়েছিল  কুমেরু অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুর কোন কোন অংশ থেকে।দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার কিছু কিছু এলাকাসহ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কোন কোন দেশ থেকে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ আংশিকভাবে দেখা গিয়েছিল আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলার প্রেক্ষিতে  গ্রহণ লাগার প্রায় চার ঘণ্টা পর থেকে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের একেবারে দক্ষিণ মাথা থেকে এই আকর্ষণীয় মহাজাগতিক ঘটনার কিছুটা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল।কিন্তু মহাজগতে যত রকমের গ্রহণ হয়, তার মধ্যে একটি হল সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গ্রহণ আছে।সাধারণত আমরা দুই ধরনের গ্রহণের কথা জানি যথাঃ চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ লিখেছেন চিলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী হুয়ান কার্লোস বিমিন তার সাম্প্রতিক বই "ইলাসট্রেটেড অ্যাস্ট্রোনমি"-তে।কিন্তু এরপরই তিনি লিখছেন-৩য় আরেক রখমের গ্রহণ রয়েছে যেটি ঘটে বহু দূরের ২টি তারার মধ্যে। ৩ ধরনের গ্রহণ এবং ৩ ধরনের গ্রহণের ও কিছু ভিন্নতা এবং  পার্থক্য  নিচে বর্ণনা করা হল-

 সূর্যগ্রহণ কি? =  পৃথিবীর কক্ষপথে যখন চাঁদঘোরে তখন তার প্রদক্ষিন বা ঘুর্ননের পথে কখনও কখনও চাঁদ এসে পড়ে সূর্য এ পৃথিবীর মাঝখানে।আর তখনি তারা থেকে আলোর বিচ্ছুরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে।অন্যভাবে বললে বলা যায়, চাঁদ এই সময় পৃথিবীকে তার ছায়ায় ঢেকে ফেলে।সূর্যগ্রহণ হয় তিন ধরনের। আর এই ধরনগুলো নির্ভর করে চাঁদ সূর্যকে কতটা ঢেকে ফেলছে তার ওপর।

চন্দ্র গ্রহণ ছবি

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কি?

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ ঘটে যখন সূর্য ও পৃথিবী এবং চাঁদ এমন অবস্থানে আসে যখন চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয় তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য *(কখনও কখনও এমনকি কয়েক মিনিটের জন্যও)★আকাশ এতটাই অন্ধকারছন্ন হয়ে পড়ে  যে মনে হয় হয়তো সেটা রাতের আকাশ।NASA এর কথায়, মহাজাগতিক একটা সমন্বয় ঘটলেই একমাত্র সূর্যের পূর্ণ গ্রহণ সম্ভব হয় - সূর্য চাঁদের তুলনায় চারশো গুণ চওড়া এবং চাঁদ পৃথিবী থেকে যত দূরে, সূর্য তার চেয়ে আরও চারশো গুণ বেশি দূরে।এই ভৌগলিক অবস্থানের অর্থ হল, চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একই লাইনে একেবারে সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছয়, তখন সূর্য পুরোপুরি ঢেকে যায় এবং সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয়," বলছে নাসা।পৃথিবী পৃষ্ঠে যে লাইন বরাবর চাঁদের ছায়া পড়ে তাকে বলা হয় "পূর্ণ গ্রাসের পথ। আর এই ছোট পথের মধ্যেই পুরো অন্ধকার নেমে আসার চোখ ধাঁধানো প্রক্রিয়াটি দেখা যায়। যে অংশে আলোর উৎস পুরো ঢেকে যায়, ছায়ার সেই ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশকে লাতিন ভাষায় বলে 'আমব্রা'।এই পথের দুপাশে কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত গ্রহণ দেখা যায় আংশিকভাবে।পুরো অন্ধকারে ঢেকে যাবার এই পথ থেকে পৃথিবীতে আপনার অবস্থান যত দূরে হবে, তত আপনি দেখবেন সূর্যের অপেক্ষাকৃত ছোট অংশ চাঁদে ঢাকা পড়েছে। আর গ্রহণ কাল কতক্ষণ থাকবে সেটা নির্ভর করবে সূর্য থেকে পৃথিবীর অবস্থান ও পৃথিবী থেকে চাঁদের অবস্থান এবং পৃথিবীর কোন্ অংশ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে তারই উপর- জানাচ্ছেন- mr,,Bimin বিমিন।তত্ত্বগতভাবে, সূর্যের গ্রহণ সর্বোচ্চ ৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে," বলেছেন চিলের এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী।আমরা অনেক সময় ভাবি সূর্যগ্রহণ বেশ বিরল একটা প্রক্রিয়া। তা কিন্তু নয়। প্রতি প্রায় ১৮ মাস অন্তর সূর্যগ্রহণ হয়।যেটা আসলে খুবই বিরল সেটা হল একই স্থান থেকে সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখতে পাওয়া। ঠিক একই জায়গা থেকে সূর্যের পূর্ণ গ্রহণ দেখা যায় গড় হিসাবে প্রতি ৩৭৫ বছরে একবার। 

বলয়গ্রাস গ্রহণ কি?বলয়গ্রাস গ্রহণ হয় যখন চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে না। তখন চাঁদ সূর্যকে এমনভাবে ঢাকে যে তার বহিঃসীমাটুকু শুধু পৃথিবী থেকে দেখা যায়। দেখে মনে হবে  ঠিক যেন আলোর আংটি-চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে দূরে থাকে এবং তাকে  অনেকটাই ছোট দেখায় তখন ছোট চাঁদ বড় সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢাকতে পারে না।ফলে সূর্যের ঢাকা না পড়া বহিঃসীমাকে একটা "বলয় বা আংটির" মত দেখা যায়-, মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে আলোর বলয় মাত্র । একেই বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণের মতই বলয়গ্রাসের সময়ও একটা "ছায়া ফেলা পথ" তৈরি হয়। এই পথের মধ্যে পৃথিবীর যেসব অঞ্চল সেখান থেকে বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যায়।একইভাবে পথের দুপাশ থাকে আরও বেশি আলোকিত। নাসা বলছে, বলয়গ্রাস সাধারণত সবচেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হয়। আংটির মত আলোর বলয় দশ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে দেখা যেতে পারে। তবে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের বেশি বলয়গ্রাস স্থায়ী হয় না। এর পর সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ হবে ২০২৩ সালের ১৪ই অক্টোবর তারিখে, যা দেখা যাবে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার  এবং উত্তররের কিছু কিছু জায়গা থেকে। মিশ্র গ্রহণ  নভেম্বর ২০১৩ সালে একটা অভিনব মিশ্র প্রকৃতির গ্রহণ হয়েছিল।

মিশ্র গ্রহণ কি?জ্যোতির্বিজ্ঞানী  huyan karlos bimin ব্যাখ্যা করেছেন যে--মিশ্র গ্রহণ এমন একটা প্রক্রিয়া যেটা ঘটে যখন চাঁদ এমন একটা দূরত্বে আসে যেখান থেকে সে সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলতে পারে। কিন্তু প্রদক্ষিণ পথে ক্রমশ চাঁদ পৃথিবী থেকে সামান্য সরে যায় এবং সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না, ফলে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দিয়ে শুরু হলেও সেটা বলয়গ্রাস গ্রহণে রূপ নেয়।আবার অনেক সময় সেটা শুরু হয় বলয়গ্রাস গ্রহণ দিয়ে, যারপর চাঁদ আরেকটু কাছে সরে গেলে পূর্ণগ্রাস হয়ে যায়,বলছেন Mr,,Bimin। হাইব্রিড বা মিশ্র গ্রহণ এক্লিপ্স খুবই বিরল ধরনের বলে জানাচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা IAC। তারা বলছে সব সূর্যগ্রহণের মাত্র চার শতাংশ  হয় মিশ্র ধরনের।NasA তথ্যউপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে এধরনের মিশ্র গ্রহণ হয়েছিল ২০১৩ সালে এবং এর পরেরটা হবে ২০শে এপ্রিল ২০২৩ সালে, যেটা দেখা যাবে ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া আর পাপুয়া নিউ গিনি থেকে।

চন্দ্র গ্রহণ কি? যখন  সূর্যের আর চাঁদের মাঝখানে থাকে পৃথিবীর অবস্থান তখনি চন্দ্রগ্রহণ হয়।  তখন আলোর উৎস বন্ধ করে দেয় পৃথিবী।  চাঁদের পিঠে পৃথিবীর ছায়া আমরা দেখি যখন চন্দ্রগ্রহণ হয় ।IAC   এর একটি প্রশিক্ষণ পুস্তিকায় বলা হয়েছে- যে দেখছে তার ভৌগলিক অবস্থানের ওপর সূর্যগ্রহণ কেমন দেখা যাবে তা নির্ভর করে। আবার অন্যদিকে চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা জিনিসটা।যদি গ্রহণের সময় চাঁদ দিগন্তের উপরে উঠে আসেতবে তা পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে ।এতে আরও বলা  হয়েছে যে,যেমন গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায় নির্ভর করে সূর্যগ্রহনের সময়, যে বা যারা দেখছে তার ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী অন্যদিকে চন্দ্রগ্রহণের বেলায়  কিন্তু আপনি কোথায় আছেন সেটা বিবেচ্য হয় নয়- সব জায়গা থেকে গ্রহণের পর্যায়গুলো একইভাবে দেখা যায়।"চন্দ্রগ্রহণও আছে তিন রকম। 


খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কি?চাঁদের খণ্ডগ্রাস গ্রহণ হয় যখন চাঁদের একটা অংশ পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়। পৃথিবী চাঁদকে কতটা গ্রাস করে নিচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে হয় গাঢ় লাল, কখনও আবার মরচে রং বা চাঁদের বুকে পৃথিবীর ছায়া কোথাও হালকা, কোথাও গাঢ় হবার কারণে এরকম দেখায়। চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে পৃথিবী থাকে চাঁদ আর সূর্যের মাঝখানে - ফলে পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের ভেতর চাঁদ প্রবেশ করে বা পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে পুরো বা আংশিকভাবে ঢেকে দেয় নাসা বলছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বিরল, কিন্তু খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ঘটে অন্তত বছরে দুবার। আশা করা হচ্ছে পরবর্তী খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২৮ থেকে ২৯শে অক্টোবর ২০২২ সালে এবং তা দেখা যাবে পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গা থেকে, পুরো এশিয়ায়, আফ্রিকা ও ইউরোপে এবং অস্ট্রেলিয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু কিছু জায়গা থেকে। 

পেনাম্ব্রা চন্দ্রগ্রহণ কি? এই চন্দ্রগ্রহণ হয় যখন পৃথিবীর হালকা ছায়াচ্ছন্ন অংশ লাতিন ভাষায় যাকে বলা হয় পেনাম্ব্রা সেই অংশের মধ্যে দিয়ে চাঁদ প্রদক্ষিণ করে। এই ছায়া গাঢ় নয়- অনেকটাই হালকা। ফলে এই গ্রহণ সাধারণ মানুষের চোখে সেভাবে ধরা পড়ে না। এই ছায়াচ্ছন্ন অংশ যদি খুবই ছোট হয় তাহলে চাঁদের গ্রাস হচ্ছে কিনা তা বোঝা কঠিন। এ কারণে দিনপঞ্জিতে এই গ্রহণের কোন উল্লেখ থাকে না। এই ধরনের গ্রহণের খবর রাখেন একমাত্র জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। 

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কি?পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বাযুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে সূর্যরশ্মি প্রবাহিত হয়ে যখন আসে তখন চাঁদের রং হয়ে ওঠে কমলা নাসা ব্যাখ্যা করছে, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ এবং সূর্য পৃথিবীর দুই পাশে ঠিক এক লাইনে অবস্থান করে।"যদিও পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে ফেলে- নাসা বলছে- চাঁদের ওপর সূর্যরশ্মির কিছুটা গিয়ে পড়ে।" চাঁদে পৌঁছনর জন্য ওই সূর্যরশ্মিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এই যাবার পথে সূর্যের নীল রশ্মির বেশিটাই বায়ুমণ্ডলে শোষিত হয়ে যায়। ফলে এই প্রক্রিয়ার সময় চাঁদকে- দেখায় লাল এবং এই রক্তিম চাঁদকে অনেকসময় নাম দেয়া হয় blood moon । IAC বলেছেন-চাঁদের ব্যাসের চেয়ে আমাদের গ্রহের ব্যাস ৪ গুণ বড় এর দরুন পৃথিবীর ছায়ার পরিধিও অনেকটাই বেশি। তাই পুরো চন্দ্রগ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক লম্বা সময় ধরে চলে - ১০৪ মিনিট পর্যন্ত এটা চলতে পারে।"এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আমরা দেখেছি এবছর ২০২১এর ২৬শে মে তারিখে, দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া বা আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে। সেদিন যাদের আকাশ পরিষ্কার ছিল তাদের মে মাসের পূর্ণিমার অতিকায় চাঁদ যার নাম "সুপার ফ্লাওয়ার ফুল মুন" প্রায় ১৪ মিনিট স্থায়ী সেটির পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার সুযোগ হয়েছিল। এর পরের ''ব্লাড মুন" বা অতিকায় লাল চাঁদ দেখা যাবে ২০২২ সালের ১৫-১৬ মে তারিখে এবং এটা সবচেয়ে ভাল দেখা যাবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং কুমেরু অঞ্চল থেকে। 

ব্লাডমুনের ছবি

 

তারা বা নক্ষত্রের গ্রহণ কি? তারা গ্রহণ আমরা যেমনটা জানি শুধু সূর্য আর চাঁদের ক্ষেত্রে হয় না। অনেক দূরের তারা বা নক্ষত্রমণ্ডলিতেও গ্রহণ হয়। -মহাজগতে 50 শতাংশ  তারার অবস্থান 2 বা তার বেশি সংখ্যক তারার মাঝখানে বলছেন --Mr'' Bipin। ছায়াপথে অসংখ্য তারা বা নক্ষত্র রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু আছে যেখানে দুটি তারা একটা ভরকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছে এবং তাদের কক্ষপথের সাথে পৃথিবীর কক্ষপথের খুবই সংযোগ রয়েছে।এর দরুন কক্ষপথে ঘোরার সময় একটা নক্ষত্র আরেকটা নক্ষত্রের সামনে এসে অন্যটির আলোকে আর একটি ঢেকে দেয়। এটাই হলো নক্ষত্রমণ্ডলীর গ্রহণ প্রক্রিয়া--তা ব্যখ্যা করেছেন চিলের জ্যোতির্বিজ্ঞানী Huyan karlos Bimin ।  

সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কেন ও কখন হয়,সূর্যগ্রহণ,সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কেন হয়,২০২২ সালে কখন সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হবে,২০২২ সূর্যগ্রহণ,পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ 2022,2022 সালের সূর্যগ্রহণ,সূর্যগ্রহণ কবে হবে 2022 সালে,গর্ভবতীর ওপর চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের কি প্রভাব পড়ে

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url