বৃন্দাবনের নিধিবন মন্দির ও ইতিহাস রহস্য
পর্যটকদের কাছে অন্যতম সেরা আকর্ষণীয় স্থান হলো বৃন্দাবনের প্রিয় নিধিবন মন্দির। বৃন্দাবনের নিধিবন মন্দিরের ইতিহাস ঐতিহ্য এই নিধিবন মন্দিরে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। যা আজ অবধি পর্যটকদের সমান ভাবে আকর্ষণ করে থাকে। নিধিবন মন্দিরের সথে লিপ্ত থাকা রহস্যঘেরা সব জল্পনা কল্পনার কোনও ভিত্তি আছে কিনা, তা নিশ্চিত না গেলেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই স্মৃতিসম্মৃদ্দ লীলাভূমিতে এসে আপনি মুগ্ধ হবেনই। সত্যিই নাকি স্বয়ং বাঁকে বিহারী নাকি আজও এখানে রাইকিশোরী ও অন্য গোপীনিদের সঙ্গে লীলাখেলা কর থাকেন।রাতে গোপীনিতে পরিবর্তিত হয়ে রাসলীলায় অংশ নেন মন্দিরের চারপাশ ঘিরে রাখা এই গাছগুলোই । মন্দির চত্বরে ঘুরতে ঘুরতেই প্রাকঐতিহাসিক একটি ছোট কুয়ো নজরে পড়বে। মনে করা হয়, রাসলীলার সময় একদিন রাধা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়লে, রাধারানীর তৃষ্ণা মেটাতে খোদ শ্রীকৃষ্ণ এই কুয়োটি তাঁর বাঁশি দিয়ে খনন করেছিলেন।সন্ধ্যারতির পর- পরই এই মন্দিরের সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বাইরে বের করে দেওয়া হয় সমস্ত পর্যটক ও পূণ্যার্থীদের। আরতির পর থেকে সকাল পর্যন্ত এখানে যে কোনও কারোর প্রবেশ নিষেধ। এই মহারাসলীলা কাউকে চাক্ষুস করতে দেওয়া হয় না তবে বাহিরে থকে টের পাওয়া যায় সব । কয়েকজন মানুষ অতি উত্সাহী কখনও নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে সন্ধের পর মন্দিরে থেকে গিয়েছিলেন দেখতে। সকালবেলা তাঁদের হয় কিছু অজ্ঞান ,কিছু মৃত, নয়তো কিছু পাগল অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছিলো। স্থানীয় অনেকে দাবি সন্ধের পর বন্ধ মন্দির থেকে ভেসে আসা ঘুঙুরের শব্দ শোনা যায়।রাধা-কৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করতে সন্ধ্যারতির পর পুরোহিতরা ও ভক্তরা এখানে শাড়ি,লাড়ু, মিষ্টি, চুড়ি, পান, মসল্লা এই সব রেখে যান। সকালে যখন দরজা খোলা হয় তখন দেখা যায় সেই সবকিছু ছড়ানো-ছিটোনো অবস্থায় । মিষ্টি, পান কেউ খেয়েছে এরখম বোঝা যায়। এই মন্দিরে সত্যিই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাস করেন বলেই বিশ্বাস করেন স্থানীয়রা, ভক্তরা ও যারা দেখতে যায় তারাও।তারা মনে করেন, বৃন্দাবনের মানুষের ভক্তি ও প্রেম কৃষ্ণভগবানকে এই মন্দিরে ফিরিয়ে আনে। অনেক ঐতিহাসিকবিদ ও বৈজ্ঞানিক এই মন্দিরের রহস্য উদ্ঘাটনের অনেকবার চেষ্টা করেছেন এবং এখনও করেন।তারাও মেনে নিয়েছেন কিছু একটা এখানে অস্বাভাবিক রয়েছে। জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ। হরে *কৃষ্ণ *হরে *কৃষ্ণ *কৃষ্ণ *কৃষ্ণ *হরে* হরে। |
নাইচ